আওয়ামী লীগ
বিএনপি উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে অপরাজনীতি করছে : কাদের
বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সারা দেশের মানুষকে মর্মাহত করেছে। বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপি উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে অপরাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উসকানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সারা দেশের মানুষকে মর্মাহত করেছে। আগুনের লেলিহান শিখা ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের স্বপ্নকে পুড়িয়ে ছাই করেছে। স্মরণকালের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যার যার সাধ্যমতো তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে। অথচ এমন ভয়াবহ ঘটনাও বিএনপির অনুভূতিকে নাড়া দিতে পারেনি। ক্ষমতার মোহে অন্ধ বিএনপি নেতৃবৃন্দের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ চিরাচরিত ভঙ্গিতে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে অপরাজনীতি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুনের ঘটনার কারণ উদঘাটনে কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনার অনুসন্ধানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিদ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ভয়াবহ এই ঘটনার পেছনে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীত ইতিহাস থেকে দেখা যায় যে, বিএনপি তাদের তথাকথিত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন সময় জনস্বার্থ বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাস ও নাশকতার পন্থা বেছে নিয়েছে। অভিনব কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে সাধারণ নিরীহ ও শ্রমজীবী মানুষদের হত্যা করেছে। অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতি বিএনপির এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। সেই দুর্বলতা থেকে বিএনপি নাশকতামূলক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি তদন্তের মাধ্যমে এই অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটিত হবে। প্রকৃত কারণ জানার পরে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়ক হবে। পাশাপাশি সবার প্রতি আহ্বান জানাই, আমরা যার যার জায়গা থেকে সর্বদা সতর্ক থাকলে এই ধরনের দুর্ঘটনা বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সক্ষম হব।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন