এশিয়া
মিয়ানমারে বিমান হামলায় মৃত্যু ১০০ ছাড়াতে পারে
মিয়ানমারের প্রত্যন্ত গ্রামে সামরিক বিমান হামলায় নিহত ১০০ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) উত্তর-পশ্চিম সাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়।
বুধবার (১২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছে কমপক্ষে ৮০টি মৃতদেহ সংগ্রহ করেছেন। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়বে পারে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহতের খবর দেয়া হয়।
এরই মধ্যে হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিরোধীদের প্রতিরোধে দেশটিতে বিমান হামলা বেড়েই চলছে।
সামরিক জান্তার মুখপাত্র জেনারেল জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, পা জি গি গ্রামে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি অফিস উদ্বোধনের আয়োজন করছিল। ওই সময়টি আক্রমণের জন্য বেছে নিয়েছেন তারা।
পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস বা পিডিএফএস নামে পরিচিত এই অভ্যুত্থানবিরোধী গোষ্ঠী মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।
সাগাইংয়ের অনেক গোষ্ঠী সামরিক শাসনের বিরোধী। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি তাদের নিজস্ব স্কুল ও ক্লিনিক রয়েছে।
গ্রামের একজন বাসিন্দা জানান, সকাল ৭টার দিকে সামরিক উড়োজাহাজ গ্রামের ওপর একটি বোমা ফেলে। এরপর একটি হেলিকপ্টার গানশিপ প্রায় বিশ মিনিট হামলা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। পরে সেনা বিমানটি ফিরে এসে মৃতদেহ জড়োকারীদের ওপর গুলি চালায়।
বাসিন্দাদের ধারণ করা ভিডিওতে মাটিতে পড়ে থাকা মৃতদেহ দেখা যায়। বেশ কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডও দেখা যায়।
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৪ লাখ নাগরিক। জাতিসংঘের মতে, দেশটির জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশেরও মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
সংঘাত-পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে গত জানুয়ারির মধ্যে কমপক্ষে ৬০০টি আকাশ হামলা পরিচালিত হয়েছে।
গেলো মাসে সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সন্ত্রাস করছে। তাদের মোকাবেলা করা হবে।
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন