চট্টগ্রাম
শবে কদরে গরুর বদলে ঘোড়া জবাই
কক্সবাজারের উখিয়ায় পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রির চেষ্টা করেছেন মাহবুব আলম প্রকাশ নামের এক কসাই। মাহবুব আলম মরিচ্যা বাজারের মিয়াজন ফকিরের ছেলে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উখিয়া উপজেলা হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা লাকরি বাজার এলাকায়। এ সময় চেয়ারম্যান ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মাহবুব ও অন্যান্য সদস্যরা। পরে ঘোড়ার মাথা ও লেজসহ মাংসগুলো জব্দ করেন উখিয়া থানা পুলিশ।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কসাই মাহাবুব আলম দীর্ঘদিন ধরে মাঝরাতে দুর্বল ও অসুস্থ ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে আসছিল। এ ঘটনায় মাহাবুব পালিয়ে গেলে তার স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, তার কাছে তথ্য ছিল কক্সবাজারের বিচ এরিয়ায় কিছু অসুস্থ ঘোড়া মরিচ্যা বাজার এলাকায় আনা হচ্ছে। কিন্তু কি জন্য আনা হচ্ছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না। তাই বিষয়টি নিয়ে গত দুইদিন ধরে বিভিন্নজনকে সোর্স হিসেবে কাজে লাগিয়েছি। পরে পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে মরিচ্যা বাজারে ঘোড়া জবাই করা হয়েছে এমন খবর পাওয়া মাত্রই দেরি না করে ঘটনাস্থলে এর সত্যতা পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিয়ে মাংসগুলো জব্দ করানো হয়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উখিয়া সহকারী কমিশন (ভূমি) তিনি জানান, এটা একটা দু:খজনক বিষয়। জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়েছে, এবং ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গরু মাংসের নামে ঘোড়া জবাই করে বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আমরা মাংস জব্দ করেছি। এ সময় অভিযুক্ত কসাই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন