আইন-বিচার
বাবার সঙ্গেই থাকতে চায় ৩ বোন, খালার অভিযোগের সত্যতা মেলেনি
রাজধানীর আদাবর থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়া তিন বোনকে যশোর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা বাবার সঙ্গে থাকতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে টিকটকে আসক্তির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শনিবার (নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার এসব তথ্য জানিয়েছেন। নিখোঁজ তিন বোন হলো, রোকেয়া (১৮), জয়নব আরা (১৭) ও খাদিজা আরা (১৬)।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ২০১২ সালে তিন বোনের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তারা মায়ের সঙ্গে থাকতো। পরে মা ক্যানসারে মারা যান। তখন থেকে তারা দুই খালার সঙ্গে থাকত। কিন্তু বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারত না। বিভিন্ন সময়ে খালাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভের কারণে তারা অসুস্থ বাবার কাছে চলে যায়।
তিনি বলেন, তিন বোন পুলিশকে জানিয়েছে, এখন থেকে তারা বাবার কাছেই থাকতে চায়, খালার সঙ্গে নয়। কারণ হিসেবে বলেছে, দুই খালার কাছে তারা যেমন আচরণ আশা করেছিল, তেমনটি পায়নি। তাই তারা বাবার কাছে চলে যায়।
উপ-কমিশনার বলেন, তাদের বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। দীর্ঘ আট থেকে নয় বছর পর তিন বোন তাদের বাবার সঙ্গে দেখা করেছে। এর আগে মাঝেমধ্যে দাদির মোবাইল নম্বরে কল করে বাবার সঙ্গে কথা বলত। আর যশোরে বাবার কাছে যাওয়ার জন্য দাদি তাদের বিকাশের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা পাঠান। পরে ১৮ নভেম্বর সকালে আদাবরের বাসা থেকে বের হয়ে তারা যশোরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর বাসা থেকে বের হয়ে তারা গাবতলীতে জননী পরিবহনের একটি বাসে করে যশোর চলে যায়। সেখান থেকে হামিদপুরে তাদের বাবার বাসায় পৌঁছায়।
তিন বোনকে নিয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। আদালতে তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে। রোববার দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে, তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়। আদালত এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। আদালত যা বলবেন আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। তাদের সব ধরনের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করা হবে।
টিকটকে আসক্তির কারণে তিন বোন ঘর ছাড়ে- খালার এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের কাছে কোনো মোবাইল ফোন পাইনি। গণমাধ্যমে তাদের খালার বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার তিন বোন আদাবরের শেখের টেকের খালার বাসা থেকে তারা বের হয়। এ ঘটনায় খালা সাজেদা নওরীন আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শুক্রবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন তাদের অবস্থান শনাক্ত করে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ