আইন-বিচার
বেইলি রোডের সেই বেপরোয়া কিশোর প্রাইভেটকার চালক আটক
রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া সেই প্রাইভেটকার চালককে আটক করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে তাকে আটক করেছে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ।
রোববার (২১ নভেম্বর) ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কিশোর তাসকিনকে চুয়াডাঙ্গা থেকে আটক করা হয়েছে। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র তাসকিন পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর মগবাজারে থাকে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে চলা তাসকিনের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় একটি রিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় রিকশাচালক, আরোহী বাবা ও তার শিশুসন্তান আহত হয়।
গত দুদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো রঙের প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪-২২৬৩) বেপরোয়া গতিতে পেছন থেকে চলন্ত রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশার চালকসহ আরোহী বাবা-শিশুসন্তান রাস্তায় ছিটকে পড়ে আহত হয়। এতে শিশুর পা ও তার বাবার হাত ভেঙে যায়। তবে ওই সময় পুলিশের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে থাকলেও প্রাইভেটকারটি আটকের চেষ্টা করেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাইবার পেট্রোলিংয়ের অংশ হিসেবে ভাইরাল ভিডিওটি তেজগাঁও বিভাগের নজরে আসে। পরে ডিসি তেজগাঁও বিপ্লব কুমার সরকার তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে প্রাইভেট কার চালককে শনাক্ত করে আটকের নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল এলাকা থেকে প্রাইভেটকারটি হেফাজতে নেয় হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
অন্যদিকে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুুলিশের সহায়তায় আলমডাঙ্গা হাট বোয়ালিয়া নতুন বাজার এলাকা থেকে তাসকিনকে আটক করে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১টা) তাসকিনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ