অপরাধ
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের ছেলেকে মারধর, ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ছেলে রিশাদ হুদাকে মারধরের মামলায় গ্রেফতার ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিশাদ হুদা ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ করেসপনডেন্ট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা–কাটাকাটির জেরে রিশাদ হুদাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহমেদকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরে নাজিম, তার সহযোগী তানভীর, ইউসুফসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন রিশাদ হুদা।
এই মামলায় নাজিমকে রোববার আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে পুলিশ। আসামির পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানির পর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এ ব্যাপারে রিশাদ হুদার সহকর্মী বনি ইবনে কামাল গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার বিকেলে কাঁটাবন এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলেন রিশাদ। তার সামনে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। হর্ন দিয়ে ওই গাড়িকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতেই রিশাদকে গালাগাল দিতে শুরু করেন চালক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা তিন–চারজন রিশাদকে মারধর করেন। সেখানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে রিশাদকে রক্ষা করেন।
কাঁটাবন থেকে রিশাদ শাহবাগে আসার পর আবারও তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে বনি ইবনে কামাল জানান। একপর্যায়ে রিশাদের পরিচয় পেয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজিম আহমেদ সমঝোতা করতে আজিজ সুপার মার্কেটে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে আলোচনার সময় বাইরে থেকে কয়েকজন এসে তার ওপর আবার হামলা চালান।
ঘটনাস্থলে আসার পর এক পুলিশ সদস্যকেও আহত করেন হামলাকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে এসে রিশাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শাহবাগ থানায় এসে মামলা করেন রিশাদ।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ