রাজশাহী
নাটোরে বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষ, ওসি-সাংবাদিকসহ আহত ২০
নাটোরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে নাটোর সদর থানার ওসি মুনসুর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের নাটোর প্রতিনিধি শহিদুল হক সরকার, বাংলাভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি কামরুল ইসলামসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশ করে বিএনপি।
আহতদের মধ্যে থানার ওসি এবং সাংবাদিক শহিদুল হক সরকারকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে সকালে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতা-কর্মিরা। এসময় সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হলেও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তারা।
এসময় পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে নেতাকর্মীরা পাল্টা ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এতে ইটের আঘাতে সদর থানার ওসি মুনসুর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের নাটোর প্রতিনিধি শহিদুল হক সরকার, বাংলাভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি কামরুল ইসলামসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে বিএনপির কার্যালয় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক জানান, পুলিশের লাঠি চার্জে কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন ছবিসহ অন্তত ২০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশই করছিল। কিন্তু পুলিশের হঠাৎ লাঠিচার্জেল কারণে নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সদর থানার ওসিসহ তাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ