টুকিটাকি
১৫০ বছরে যৌবন আসে, বাঁচে কত বছর এই হাঙর
১৬৬৫ সালে যখন লন্ডনে প্লেগ মহামারিতে হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, তখনও ছিল তারা। ১৭৮৯ সালে যখন জর্জ ওয়াশিংটন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন, তখনও ছিল তারা। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও সাক্ষী থেকেছে তারা। কোনও শিল্প স্থাপত্য নয়, তারা জীবিত প্রাণী। তারা গ্রিনল্যান্ডের হাঙর।
নাম গ্রিনল্যান্ডের হাঙর হলেও শুধু গ্রিনল্যান্ডেই থাকে না। ক্যারিবিয়ান সাগরেও দিব্যি খেলে বেড়ায় তারা। তবে বরফশীতল সাগর, মহাসাগরের গভীরেই তাদের চলাচল। সূর্যের মুখ দেখতে তারা সাঁতরে উপরে ওঠে না সাধারণত। সাধারণত মাইনাস ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় থাকাই তাদের পছন্দ।
মানুষের কাছে বহু বছর পর্যন্ত অধরাই ছিল তারা। ১৯৯৫ সালে প্রথম বার এই হাঙরের ছবি তুলতে সক্ষম হন গবেষকরা। তারও ১৮ বছর পর প্রথম বার এই প্রাণীর ভিডিও ধরা পড়ে।
গ্রিনল্যান্ডের হাঙর যখন পূর্ণবয়স্ক হয়, তখন তাদের আকার হয় সাদা হাঙরের (গ্রেট হোয়াইট) মতো। তবু সাদা হাঙরের সঙ্গে অনেক ফারাক রয়েছে গ্রিনল্যান্ডের হাঙরের। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম সমনিওসাস মাইক্রোসেফালাস। কয়েকশো বছর বাঁচে এই হাঙর। আর অন্তত দেড়শো বছর না হলে সঙ্গম করতে পারে না।
গ্রিনল্যান্ডের হাঙরের পেশিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন। তাই এই মাছ খেলে মারাত্মক নেশা হতে পারে। এই মাছ শিকার করে তাই রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। তার পরেই খাওয়া যায়।
গ্রিনল্যান্ডের এই হাঙর নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পিটার জি বুশনেল। তিনি জানিয়েছেন, এই পৃথিবীতে যত প্রাণী রয়েছে, তার মধ্যে সম্ভবত সব থেকে বেশি বছর বাঁচে গ্রিনল্যান্ডের হাঙর। কত বছর বাঁচে এরা? বুশনেলের দাবি, চারশো বছর বা তার বেশি সময়ও বাঁচতে পারে এই হাঙর।
কোনও গ্রিনল্যান্ডের হাঙর যদি স্বল্প সময়ও বাঁচে, তা হলেও তা ২৭২ বছরের কম নয়। বাওহেড তিমি গড়ে ২১১ বছর বাঁচে। তার থেকেও বেশি বাঁচে গ্রিনল্যান্ডের হাঙর।
বুশনেল জানিয়েছেন, গ্রেট হোয়াইট হাঙর বাঁচে ৮০ থেকে ৯০ বছর। বয়সে গ্রিনল্যান্ডের হাঙর তাদের বৃদ্ধ পিতামহের মতো।
কী ভাবে এত বছর বাঁচে গ্রিনল্যান্ডের হাঙর? বুশনেল জানিয়েছেন, তার নেপথ্যে রয়েছে দু’টি কারণ। এই হাঙরের বিশাল আকার আর ঠান্ডা আবহাওয়া।
বিজ্ঞানী বুশনেল জানিয়েছেন, রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বাড়লে বেশি কিছু রাসাসনিক বিক্রিয়া তাড়াতাড়ি হয়। আর ঠান্ডার কারণে কিছু বিক্রিয়া খুব ধীরে হয়। এমনকি কখনও কখনও তা বন্ধ হয়ে যায়। গ্রিনল্যান্ডের হাঙরের শরীরে কলাগুলি ঠান্ডায় প্রায় জমে যায়। সে কারণে বেশ কিছু বিক্রিয়া অনেক দেরিতে হয়। এমনকি বিপাকক্রিয়াও ধীরে হয়।
বিপাকক্রিয়ার কারণে শরীরের খাবার শক্তিতে পরিণত হয়। এই বিপাকক্রিয়া ছোট প্রাণীর মধ্যে খুব দ্রুত হয়। আর বড় প্রাণীর মধ্যে ধীরে হয়। ধীরে বিপাক ক্রিয়া হল বলে অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াও ধীরে হয়। একই কারণে বয়সবৃদ্ধিও (এজিং) হয় ধীরে। যে কারণে ইঁদুরের থেকে হাতি অনেক বেশি বছর বাঁচে।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জর্জ এইচ বার্জেসও বুশনেলের সঙ্গে সহমত। তার মতে, যা মনে করা হচ্ছে, তার থেকেও হয়তো বেশি বছর বাঁচে গ্রিনল্যান্ডের হাঙর। বুশনেল গ্রিনল্যান্ডের প্রায় ২৮টি স্ত্রী হাঙরকে নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই হাঙরগুলির বয়স ২৭২ থেকে ৫১২ বছর।
বয়স যত বাড়ে, তত হাঙরের বৃদ্ধি কমে যায়। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, যে হাঙর যত দীর্ঘ, তার বয়স তত বেশি।
বিজ্ঞানীদের দাবি, একটি হাঙরের ১৫০ বছর বয়স না হলে সে সঙ্গমে সক্ষম হয় না। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গভীর সমুদ্রে বিচরণকারী বেশির ভাগ প্রাণীই বহু বছর বাঁচে। ঠান্ডার কারণেও তাদের আয়ু বাড়ে। বহু বছর বাঁচে বলে তাদের প্রজনন ক্ষমতা আসে অনেক বয়সে। যেমন গ্রিনল্যান্ডের হাঙরের ক্ষেত্রে হয়েছে।
শত শত বছর বেঁচে থাকলেও গ্রিনল্যান্ডের হাঙর কিন্তু বিপজ্জনক নয়। মানুষকে আক্রমণ করেছে বলে প্রমাণ পাননি গবেষকরা। স্থানীয়রা অনেক সময় দাবি করেন, মাছ ধরার ছোট নৌকা (কায়াক) দেখলে হামলা করে তারা। তবে গবেষকরাই এই দাবি মানেননি। তারা জানিয়েছেন, মানুষ আক্রমণ না করলে এই হাঙর হামলা চালায় না।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের হাঙর খুব ভালো ডুবুরি। ২২০০ মিটার (৭,২১৮ ফুট) পর্যন্ত গভীরে চলে যায় তারা।
গবেষকদের অনেকেই গ্রিনল্যান্ডের হাঙরকে সমুদ্রের শকুন বলে থাকেন। তার কারণ এদের খাদ্যাভ্যাস। হেন কোনও জিনিস নেই, যা এই হাঙর খায় না। মূলত সিল আর মাছ খায় তারা। তবে তা না পেলে যা প্রাণী পায়, সবেরই মাংস খায় এরা। কোনও কিছুই ফেলে দেয় না। অনেক গবেষকই মনে করেন, সব কিছু খেতে পারে বলেই এরা শত শত বছর বেঁচে রয়েছে। কোনও দিন খাদ্যাভাবে ভোগে না।
টুকিটাকি
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ বছর ধরে তরুণীকে ধর্ষণ
তরুণীকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগে রোববার মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী থেকে ২৮ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠাণে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম রিয়াসাত ইলিয়াস কুরেশি। গেলো দু’বছর ধরে এক তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণ করেছে সে।
অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দু’জনেই ঠাণের বাসিন্দা। ২০২১ সালে বছর ২৪-এর ওই তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় ইলিয়াস। কিছু দিনেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। এর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে সে। একবার ওই তরুণীকে গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়।
কিন্তু এ বছর তরুণী বিয়ের কথা তুলতেই বেঁকে বসে সে। এর পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।
রাবোড়ি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পেশায় এক জন দর্জি। নিজের দোকান রয়েছে তার। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর বিয়েতে রাজি না হওয়াতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেএইচ
টুকিটাকি
বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে
যুগলের বিয়ের আগে বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে। অনেক খুঁজেও তাদের হদিস মিলল না। অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্চ জেলার। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে যুগলের বাগ্দান পর্ব সারা হয়েছিল। বাকি ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারই তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন আগে হঠাৎই উধাও হয়ে যান বরের বাবা। ওই একই সময় থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কনের মায়েরও। দুই পরিবার এ নিয়ে বিভ্রান্ত হয়। নানা জায়গায় দু’জনের খোঁজ করা হয়। কী থেকে কী হয়েছে, কারও সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না।
প্রায় এক মাস ধরে দু’জনের খোঁজ করে পরিবার। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন কনের বাবা। তার অভিযোগ, তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তার হবু জামাইয়ের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্তের নাম শাকিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নিজেরই ১০ সন্তান। এ ছাড়া, ওই মহিলার আরও ছয় সন্তান রয়েছে। মোট ১৬ সন্তান রেখে তারা পালিয়েছেন।
কনের বাবা থানায় জানিয়েছেন, গেলো ৩ জুন থেকে তার স্ত্রী নিখোঁজ। একই সময় থেকে পাওয়া যাচ্ছে না হবু জামাইয়ের বাবাকেও। তিনি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা অভিযোগকারীর।
তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দু’জন স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন। তবে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, যুগলের বাগ্দানের পর থেকেই বরের বাবা এবং কনের মা নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করেন। গোপনে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরেই দু’জন পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার বলেছেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গেলো ১১ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারা অনুযায়ী অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই পালিয়েছেন। তবু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি স্বেচ্ছায় না হয়ে থাকলে ওঁকে ফিরিয়ে আনা হবে।’
জেএইচ
টুকিটাকি
স্বামীর গায়ের রং কালো, তাই বাপের বাড়ি চলে গেলেন স্ত্রী
স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন স্ত্রী! বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে গেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবক। তার অভিযোগ, সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী। আর ফিরতে চাইছেন না। চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে স্বামীর গায়ের রংকে দুষছেন তিনি। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মহিলাও স্বামীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে পাল্টা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। ২৪ বছর বয়সি যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। কিছু দিন আগে তার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। এর পরেই সন্তানকে ফেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। কিছু দিন পর বাপের বাড়ি থেকে যুবক স্ত্রীকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় তার সঙ্গে ঘর করতে চান না।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ আপাতত আগামী শনিবার দম্পতিকে থানায় তলব করেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দু’জনের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে গোলমাল মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। তাতেও যদি মিটমাট না হয়, তবে অভিযোগ অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
গোয়ালিয়রের ভিকি ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্ত্রী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিক বার ঝামেলাও হয়েছিল। কিছু দিন আগে সন্তান জন্ম দওয়ার পরেই স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যদিও মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, স্বামী তার উপর অত্যাচার করেন। সেই কারণেই তিনি বাড়ি ছেড়েছেন।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন