অপরাধ
এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব, আটক ১
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছে ১ হাজার ৫৫০ টাকা করে নেয় প্রতারক হিমেল মুস্তাকিম।
সোমবার (১ মে) রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের একটি টিম তাকে আটক করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আটকের সময় তার কাছে থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি হিমেল মুস্তাকিম নামের এক প্রতারক ফেসবুকে SSC BATCH 2023 নামের এক গ্রুপে তার কাছে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রয়েছে বলে একটি পোস্ট দেয়।
পোস্টে ওই প্রতারক আরও বলে, এসএসসি ২০২৩ এর বাংলা প্রথম পত্রের ১০০% কমন প্রশ্ন লাগলে দ্রুত যোগাযোগ করুন। প্রশ্ন পাবার সময়কাল পরীক্ষার দিন ভোর চারটা থেকে ছয়টার মধ্যে। পরবর্তীতে হিমেল তার ‘প্রশ্ন /Question All board’ নামের ফেসবুক পেইজ বেশ কিছু এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যুক্ত (অ্যাড) করে।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন দেয়ার জন্য whatsapp গ্রুপে ওই শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে। পরে প্রতি জনের কাছ থেকে ১৫৫০ টাকা করে নেয়। পুরও বিষয়টি সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে এলে প্রতারককে সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ গণমাধ্যমে বলেন, বর্তমানে পরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রশ্ন বণ্টনের যে প্রক্রিয়া সে অনুযায়ী এখন আর কোনোভাবেই প্রশ্নফাঁস করা সম্ভব না। বিসিএসসহ যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিব্রত করা হয়। এজন্য আমরা খুব সতর্ক ছিলাম, এ ধরনের গুজব এলে যেন ব্যবস্থা নিতে পারি। এরই মধ্যে আমরা ফেসবুকে চার-পাঁচটি গ্রুপ পেলাম যেখানে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে গুজব রটিয়ে পোস্ট করা হচ্ছে। পরে আমাদের টিমের লোকজন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সেজে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এভাবে তার অবস্থান ও পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর তাকে আজ বিকেলে গুলশান থেকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আটক মুস্তাকিমের বাড়ি নোয়াখালী। সে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করে। তবে সে অনলাইন প্রতারণায় খুবই দক্ষ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন