আওয়ামী লীগ
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ‘অসুস্থ রাজনীতি’ না করতে বিএনপিকে অনুরোধ জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষ চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরামের নবনির্বাচিত পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অনুরোধ জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়াকে অসুস্থ রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় বিএনপি। এতে করে বেগম জিয়াকে অসম্মান জানানো হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এটি কে বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কোনো ডাক্তার এখনও বলেনি বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। এখন বিএনপির নেতারা চিকিৎসক হয়ে গেছেন। এখন বিএনপি নেতাদের প্রেসক্রিপশনে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কি না সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতেও আমরা দেখেছি, বেগম জিয়া যখন অসুস্থ হয়েছেন তখন তারা দাবি তুলেছে বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে হবে। হাঁটু ও গাঁয়ের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। কিছু হলেই বিদেশ পাঠাতে হবে এই জিকির তোলার কারণ কি? কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে চান। তারা বিশেষত বেগম জিয়াকে পাঠাতে চান লন্ডনে যেখানে তারেক জিয়া আছে।
তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও বেগম জিয়া যাতে সেখান থেকে আবার রাজনীতি করতে পারেন। তারেক রহমানও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়ে সেখান থেকে রাজনীতি করছেন। বেগম জিয়াকে পাঠিয়ে দিয়ে তারা সেই কাজটি করতে চান। আসলে বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি, তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে এ দাবি উত্থাপন হচ্ছে। ডাক্তাররা এই দাবি করছে না, এ দাবি করছেন বিএনপি নেতারা। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ দাবি করছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়ার যাতে সঠিক চিকিৎসা হয় সেজন্য সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করে দিতে বদ্ধপরিকর। দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে চায় সরকার। দেশের অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছে, তারা কি বলেছেন? তারা কি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন? দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বেগম জিয়ার আসলে কি হয়েছে সেটা পরীক্ষা করার কথা সেটা তো তারা বলছেন না। তারা বলছেন, বিদেশ পাঠিয়ে দিতে হবে।
বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে সরকার রহস্যজনক আচরণ করছে- বিএনপির এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার বিষয়ে বিএনপির ভূমিকাই রহস্যজনক। আর সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত স্পষ্ট। বাংলাদেশে যাতে বেগম জিয়া সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সেটা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের সব বড় বড় চিকিৎসকদের নিয়ে বেগম জিয়ার চিকিৎসা করাতে চাইলে সেটাও করতে চায় সরকার। কিন্তু বেগম জিয়া অসুস্থ হলে বিদেশ নিতে চায় এটিই আসলে রহস্যজনক।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/