টুকিটাকি
৭ হাজার প্রেমিক এই মডেলের, কিন্তু নেই তার জীবনসঙ্গী
সকালে উঠেই ফোনে টুং টাং মেসেজের শব্দ। ফোনের ও পারে অপেক্ষারত সাত হাজার জন। সকলেই তার প্রেমিক। প্রেমিকদের প্রশংসায় ভরে যায় তার চ্যাটবক্স। নাম তার নালা রে। ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা তিনি। ২৫ বছর বয়সে মডেলিং পেশায় নেমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই তন্বী।
বেশির ভাগ সময় খোলামেলা পোশাক পরেই ক্যামেরার সামনে নিজেকে মেলে ধরেন নালা। বড়দের সাইটে খোলামেলা পোশাক পরে ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে উপার্জন করেন তিনি।
বড়দের সাইট ছাড়াও নেটমাধ্যমেও অনুরাগীর ছড়াছড়ি নালার। জনপ্রিয়তার নিরিখেই নয়, উপার্জনের নিরিখেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি। প্রতি মাসে ৩ লাখ ডলার (দেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা) উপার্জন করেন নালা। ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার পরেও রূপসী মডেলের জীবন যেন সঙ্গীহীন।
সঙ্গীহীন হওয়া সত্ত্বেও নালার প্রেমিকের সংখ্যা শুনলে যে কেউ অবাক হবেন। অনলাইনেই সাত হাজার প্রেমিক জুটিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি। সকালবেলা উঠেই সকল প্রেমিককে মেসেজ পাঠান নালা।
নালা বলেন, ‘সারা দিন ওঁদের সঙ্গে কথা বলে সময় কেটে যায় আমার। সারা দিন কী কী করল, কী নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে— সব কিছু নিয়েই আলোচনা করি আমি।’
তবে প্রেম-ভালোবাসাকে অনলাইনে ফোনের মধ্যেই বন্দি করে রাখতে চান নালা। ডেলি স্টারের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নালা নাকি এতটাই সুন্দরী এবং ক্যারিয়ারে এতটাই সফল যে বাস্তবে তার জীবনে কোনও প্রেমিক জুটতে পারে না, এমনটাই মনে করেন নালা।
নালা বলেন, ‘আমাকে রাস্তাঘাটে দেখে অনেকে চিনতে পারেন। তারা যখন আমার সঙ্গে আলাপ করতে আসেন, সেই সময় যদি আমার প্রেমিক আমার সঙ্গে থাকে, তা হলে সে ঝামেলা করতে শুরু করে।’
নালার মন্তব্য, ‘বাস্তবে আমি যার সঙ্গেই প্রেম করব, সে-ই ভাববে যে অন্য লোকজন তার প্রেমিকাকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছেন। আমার পেশা কখনওই কেউ মেনে নিতে পারে না।’
এমনকি, নালার উপার্জনের পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নালা বলেন, ‘একই পেশায় রয়েছেন এমন পুরুষের সঙ্গেও ডেট করেছি আমি। কিন্তু সে-ও আমাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত।’
নালার মতে, তার প্রেমিকেরা সহ্য করতে পারেন না যে, তিনি এত সুন্দরী। নালার মন্তব্য, ‘প্রেমিকা চার-পাঁচ গুণ বেশি আয় কী করে করতে পারে, এই চিন্তাই ঘুরত আমার প্রেমিকদের মাথায়।’
নালার মতে, বাস্তবে প্রেম করার চেয়ে অনলাইনে প্রেম করা ঢের ভালো। নালা বলেন, ‘অনলাইন ডেটিংয়ে কোনও ঝামেলা নেই। আমার প্রেমিকরাও জানে যে, তাদের যে কোনও প্রয়োজনে আমি রয়েছি। আর কী চাই জীবনে?’
সাত হাজার প্রেমিককে সামাল দিয়ে ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুরাগীদের মনও জিতে নেন নালা। ইতোমধ্যেই তার অনুরাগী সংখ্যা সাড়ে সাত লাখের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।
কয়েক মাস ধরে ‘সিঙ্গল’ থাকা নালার মতে, তার প্রেমিকেরা যখন বলেন যে তাদের জীবনে নালা রয়েছে বলে তারা ভারো রয়েছেন, তখন নালা খুব আনন্দ পান।
টুকিটাকি
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ বছর ধরে তরুণীকে ধর্ষণ
তরুণীকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগে রোববার মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী থেকে ২৮ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠাণে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম রিয়াসাত ইলিয়াস কুরেশি। গেলো দু’বছর ধরে এক তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণ করেছে সে।
অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দু’জনেই ঠাণের বাসিন্দা। ২০২১ সালে বছর ২৪-এর ওই তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় ইলিয়াস। কিছু দিনেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। এর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে সে। একবার ওই তরুণীকে গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়।
কিন্তু এ বছর তরুণী বিয়ের কথা তুলতেই বেঁকে বসে সে। এর পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।
রাবোড়ি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পেশায় এক জন দর্জি। নিজের দোকান রয়েছে তার। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর বিয়েতে রাজি না হওয়াতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেএইচ
টুকিটাকি
বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে
যুগলের বিয়ের আগে বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে। অনেক খুঁজেও তাদের হদিস মিলল না। অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্চ জেলার। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে যুগলের বাগ্দান পর্ব সারা হয়েছিল। বাকি ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারই তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন আগে হঠাৎই উধাও হয়ে যান বরের বাবা। ওই একই সময় থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কনের মায়েরও। দুই পরিবার এ নিয়ে বিভ্রান্ত হয়। নানা জায়গায় দু’জনের খোঁজ করা হয়। কী থেকে কী হয়েছে, কারও সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না।
প্রায় এক মাস ধরে দু’জনের খোঁজ করে পরিবার। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন কনের বাবা। তার অভিযোগ, তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তার হবু জামাইয়ের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্তের নাম শাকিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নিজেরই ১০ সন্তান। এ ছাড়া, ওই মহিলার আরও ছয় সন্তান রয়েছে। মোট ১৬ সন্তান রেখে তারা পালিয়েছেন।
কনের বাবা থানায় জানিয়েছেন, গেলো ৩ জুন থেকে তার স্ত্রী নিখোঁজ। একই সময় থেকে পাওয়া যাচ্ছে না হবু জামাইয়ের বাবাকেও। তিনি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা অভিযোগকারীর।
তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দু’জন স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন। তবে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, যুগলের বাগ্দানের পর থেকেই বরের বাবা এবং কনের মা নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করেন। গোপনে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরেই দু’জন পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার বলেছেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গেলো ১১ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারা অনুযায়ী অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই পালিয়েছেন। তবু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি স্বেচ্ছায় না হয়ে থাকলে ওঁকে ফিরিয়ে আনা হবে।’
জেএইচ
টুকিটাকি
স্বামীর গায়ের রং কালো, তাই বাপের বাড়ি চলে গেলেন স্ত্রী
স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন স্ত্রী! বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে গেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবক। তার অভিযোগ, সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী। আর ফিরতে চাইছেন না। চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে স্বামীর গায়ের রংকে দুষছেন তিনি। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মহিলাও স্বামীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে পাল্টা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। ২৪ বছর বয়সি যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। কিছু দিন আগে তার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। এর পরেই সন্তানকে ফেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। কিছু দিন পর বাপের বাড়ি থেকে যুবক স্ত্রীকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় তার সঙ্গে ঘর করতে চান না।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ আপাতত আগামী শনিবার দম্পতিকে থানায় তলব করেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দু’জনের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে গোলমাল মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। তাতেও যদি মিটমাট না হয়, তবে অভিযোগ অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
গোয়ালিয়রের ভিকি ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্ত্রী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিক বার ঝামেলাও হয়েছিল। কিছু দিন আগে সন্তান জন্ম দওয়ার পরেই স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যদিও মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, স্বামী তার উপর অত্যাচার করেন। সেই কারণেই তিনি বাড়ি ছেড়েছেন।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন