বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
সাম্প্রতিক সময়ের ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ে শামিল হতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এমন লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজ শুরু করছে টাইগাররা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্ট ম্যাচটি। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের রেকর্ড সমৃদ্ধ না হলেও মাঠের লড়াইয়ে কোন ছাড় না দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক বলেন, ‘কোন সন্দেহ নেই যে সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমাদের দক্ষতায় আমরা ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’
দলের সেরা তিন খেলোয়াড় না থাকায় নতুন রুপে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়া হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে না প্রথম টেস্টের দলে নেই সাকিব আল হাসান। ইনজুরির কারনে দলের বাইরে তামিম ইকবালও। আর আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের দলে ছিলেন সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। হারারের ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ১৫০ রানের সুবাদে বাংলাদেশ জয় পায় ২২০ রানের ব্যবধানে।
দলের সাকিবকে দুই জন খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই প্রথম টেস্টে দল সাজাতে ঘাম ঝড়াতে হবে বাংলাদেশকে। মাথা ব্যাথার কারণ হবে মাহমুদুল্লাহর না থাকাটাও।
ইয়াসির আলিকে অভিষেক ঘটিয়ে বাংলাদেশ হয়তো সেই শুন্যস্থানগুলোর বিছুটা পূরণ করতে পারে। দলে দুই নতুন মুখ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও পেসার রেজাউর রহমানকে নিয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি মোমিনুল।
তিনি বলেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাড়া খেলা সহজ হবে না। তবে আমাদের হতাশ হওয়া উচিত নয়। আমাদের যা আছে তাই নিয়ে খেলতে হবে। আমি মনে করি অন্যান্য খেলোয়াড়রা তাদের দক্ষতা দেখানোর জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে না খেললেও, আবারো দলে ফিরেছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। নিয়মিত টেস্ট বোলার ছিলেন রাহি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে টেস্টে সুযোগ পাননি তিনি। তার পরিবর্তে দলে সুযোগ পান তাসকিন আহমেদ। যে কি-না, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হাতের ইনজুরিতে পড়েন। এতে প্রথম টেস্টের দলে সুযোগ পাননি তাসকিন।
এই বছরে পাঁচটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র একটিতে জিতেছে এবং তিনটি হেরেছে তারা। দু’টি হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এবং একটি শ্রীলংকার বিপক্ষে। তবে শ্রীলংকার সাথে একটি টেস্ট ড্রও করেছে টাইগাররা।
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই টেস্টেই হারাতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু বাজে বোলিংয়ের কারনে তার আর সম্ভব হয়নি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বাদে, পাঁচ টেস্টে বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটিং ভালোই ছিল। কিন্তু জয়-হারের অনুপাত কমিয়ে দেয়।
পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর এবং তার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরমেন্সের পর টেস্ট লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। উভয় লড়াইয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরমেন্স ছিলো অত্যন্ত হতাশার। কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ফরম্যাট হওয়ায় টেস্টে ভাগ্য ফেরানোর আশা করতে পারে টাইগাররা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি ড্র বাদে সবগুলোই জিতেছে পাকিস্তান। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলতে আসা সিরিজে টেস্টটি ড্র হয়েছিলো। ড্র হওয়া টেস্টে ২০৬ রান করেছিলেন তামিম। যা টেস্টে বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এছাড়া ঐ ম্যাচে ১৫০ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস। উদ্বোধনী জুটিতে ৩১২ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন তামিম ও ইমরুল।
অন্য দিকে টেস্ট ক্রিকেটে দারুন ছন্দে রয়েছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ ড্র করেছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজেও দুর্দান্ত লড়াই করে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২১টি টেস্ট খেলেছে, জিতেছে ১৪টিতে হেরেছে ৯১টিতে। এরমধ্যে ৪৩টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে। বাকী ১৬ টেস্ট ড্র করেছে।
পরিসংখ্যানই বলছে, এই ফরম্যাটে টাইগাররা কতটা দুর্বল। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলা হবার কারণে, বড় স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল
মোমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাইম হাসান, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, আবু জায়েদ রাহি, ইয়াসির আলি রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয় ও রেজাউর রহমান রাজা।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ