আওয়ামী লীগ
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজুহাতে কৌশলে ক্ষমতায় আসতে চায় : কামরুল
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে চায়। অথচ আমরা দেখেছি তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে দুই বছর ক্ষমতায় ছিলো। কীভাবে তারা অনাচার চালিয়েছে। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজুহাতে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। বললেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
শনিবার (৭ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে। বিদেশি পরিদর্শক দেশে এসে তা দেখে প্রশংসাও করেছেন।
তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে সবচেয়ে বেশি স্মরণ হয় বর্তমান শ্রমিক লীগের দুর্দশার কথা। কারণ আহসান উল্লাহ মাস্টার যখন শ্রমিক লীগের নেতা ছিলেন ওই সময়টা ছিল শ্রমিক লীগের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম সময়। আমার প্রত্যাশা থাকবে, শ্রমিক লীগ আবার যেন স্বমহিমায় ফিরে আসে।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি ঢাকার পিপিই ছিলাম। তখনকার সময় বিএনপির-জামায়াত যে পরিমাণ মামলা করতো, তার বেশিরভাগ আমরা দেখভাল করতাম। ওই সময় একটা সাধারণ কর্মীর জন্যেও আহসান উল্লাহ মাস্টার আমাদের কাছে ছুটে আসতেন। ২০০৪ সালে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়। আমরা যখন তার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিলাম, তখন আমাদের ওপরেও বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার নেমে আসে। তারপরেও আমরা মাস্টার হত্যার সঠিক বিচার পাইনি। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে আর ১১ জনকে দেয়া হয়েছে বেকসুর খালাস। তবে আসামিপক্ষ আপিল করেছে, আশা করছি দ্রুতই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্জনগুলোকে ধূলিসাৎ করার জন্য বিএনপি এখন ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা কোনো কিছুই মানে না। সাধারণ মানুষের ওপর তাদের আস্থা নেই, তাদের আস্থা বিদেশিদের ওপর। তাদের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে।
প্রসঙ্গত, সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন