আইন-বিচার
ডিএসসিসির ময়লার গাড়ি চালক হারুন ২ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর গুলিস্থানে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির চালক (২য়) হারুনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আনিছুর রহমান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর গাড়িচালক রাসেল খানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরে র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস. ও মিডিয়া শাখা) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব এ ঘটনার ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল শুক্রবার ভোরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে ময়লাবাহী ট্রাকটির নিয়মিত চালক (চুক্তিভিত্তিক) মো. হারুনকে গ্রেফতার করে। হারুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার ফরিদাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হারুন র্যাবকে জানান, তিনি ময়লাবাহী এই গাড়িটি নিয়মিতভাবে চালিয়ে আসছেন। বুধবার তিনি অনুপস্থিত থাকার কারণে তার সহকারী মো. রাসেল গাড়িটি চালান। তবে হারুনের কোনো ড্রইভিং লাইসেন্স নেই। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে গত বুধবার গ্রেফতার করা হয় দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা চালক রাসেলকে। পরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির পল্টন মডেল থানার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আ. আহাদ জানান, ময়লার গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রাসেল খান। কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে ওই গাড়ির চালক নন। রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানান, চালক হারুনের কাছ থেকে তিনি গাড়িটি নিয়েছেন।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ