ফুটবল
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মেসি, সেরা দল বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনাও
ক্যারিয়ারে অসংখ্য অর্জন লিওনেল মেসির। সেই অর্জনের খাতায় নতুন নতুন অধ্যায় যোগ করে চলেছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তেমনই আরেকটি পুরস্কার নিজের শোকেসে তুললেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ‘লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন বিশ্বজয়ী এ কিংবদন্তি। কোনো ফুটবলার হিসেবেও যা দ্বিতীয়বার। সেইসঙ্গে মেসির আর্জেন্টিনাও জিতেছে বর্ষসেরা দলের খেতাব।
এর আগে প্রথম ফুটবলার হিসেবেও ২০২১ সালে এটি জিতেছিলেন লিও। সেবার কোপা আমেরিকার শিরোপা আর এবার অধরা বিশ্বকাপ তাকে এনে দিয়েছে বছরের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।
সোমবার (৮ মে) ফ্রান্সের প্যারিসে জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মেসির হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় এ সম্মাননা ট্রফি। এদিকে মেসি ছাড়াও বিশ্বের সেরা দল হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ঘরে তোলা আর্জেন্টিনা।
লরিয়াস পুরস্কার জিতে মেসি বলেন, এটা বিশেষ এক সম্মান। বিশেষ করে এই বছর লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড প্যারিসে হওয়ায়। যারা ২০২১ সালে এখানে আসার পর আমাদের সাদরে গ্রহণ করেছে। আমি সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। শুধু জাতীয় দলের নয় পিএসজির সতীর্থদেরও।
আর্জেন্টিনা ও পিএসজি ফুটবলার মেসি আরও বলেন, এ ধরণের স্বীকৃতি পাওয়া দারুণ। আর আমি ভাগ্যবান এ বছর জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন বিশ্বকাপ জয়ের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। যার জন্য আমাকে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তবে কখনোই থেমে যাইনি।
কাতার বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন মেসি। দলকে ৩৬ বছর পর শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি নিজেও জিতেছেন গোল্ডেন বল পুরস্কার। এবার তার ঝুলিতে যুক্ত হলো আরও একটি পুরস্কার।
এছাড়াও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে একশো মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জয়ী জ্যামাইকান স্প্রিন্টার শেলি অ্যান ফ্রেজার জিতেছেন বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়। ড্যানিশ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন কামব্যাক অব দ্যা ইয়ার ও স্প্যানিশ টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ জিতেছেন ব্রেকথ্রো অব দ্যা ইয়ারের পুরস্কার।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন