আন্তর্জাতিক
কে হচ্ছেন টুইটারের সিইও, জানালেন মাস্ক
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক গণমাধ্যম ও এন্টারটেইনমেন্ট মাল্টি ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি এনবিসি ইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন শাখার সাবেক প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনো হচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী (সিইও)। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদে আসছেন তিনি।
টুইটারের মালিক এবং বর্তমান শীর্ষ নির্বাহী ইলন মাস্ক নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার (১২ মে) এক টুইটে তিনি বলেন, ‘টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনোকে আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি। এখন থেকে লিন্ডা টুইটারের যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারক করবেন, আর আমি মনযোগ দেব (টুইটারের) প্রোডাক্ট ডিজাইন এবং নতুন প্রযুক্তির ওপর।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯টা ৪৯ মিনিটে এই টুইট করেন মাস্ক। তার আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৪৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় তিনি জানান, টুইটারে নতুন শীর্ষ নির্বাহী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান এনবিসি ইউনিভার্সাল। গেলো কয়েকদিন ধরেই মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ছিল, নতুন চাকরি খুঁজছেন প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন শাখার প্রধান ও অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা লিন্ডা ইয়াকারিনো। তারপর স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে এনবিসি ইউনিভার্সাল এক ঘোষণায় জানায়, কোম্পানির চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন লিন্ডা। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম টুইটটি করেছিলেন মাস্ক।
নানা নাটকীয়তার পর গেলো বছর অক্টোবরে টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী, বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। মালিকানা গ্রহণের পাশাপাশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালকে হটিয়ে নিজে এই পদে আসেন তিনি।
মালিকানা গ্রহণের পর পরই কোম্পানির কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন ইলন মাস্ক। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৭ মাসে কোম্পানির প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, একের পর এক কর্মীকে ছাঁটাই এবং যাদের চাকরি এখনও আছে— তাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করার জেরে বাজারে টুইটারের সুনাম বেশ ক্ষুন্ন হয়। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা একে একে সরে যেতে থাকে, এবং তার প্রভাব পড়ে কোম্পানির আয়ের ওপর। সম্প্রতি মাস্ক নিজেই স্বীকার করেছেন— বিজ্ঞাপন খাত থেকে টুইটারের আয় ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে।
তবে লিন্ডা ইয়াকারিনো টুইটারের শীর্ষ নির্বাহীর পদে এলে প্রতিষ্ঠানটির গতিপথ ‘১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে’ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞাপন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মার্কেটিং কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এজেএল অ্যাডভাইসরির শীর্ষ নির্বাহী লউ প্যাসক্যালিস দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কিন বিজ্ঞাপন কোম্পানির শীর্ষ পদে কাজ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি যদ্দুর জানি, লিন্ডা ইয়াকারিনো যখন এনবিসি ইউনিভার্সালে ছিলেন— সে সময় বহু চড়াই-উৎরাই তার সামনে এসেছে এবং অনবদ্যভাবে তিনি সেসব পেরিয়ে এসেছেন। টুইটারকে সঠিক পথে আনা এই মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য লিন্ডা একজন উপযুক্ত ব্যক্তি।’
তবে মাস্কের টুইট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত লিন্ডা ইয়াকারিনোর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
I am excited to welcome Linda Yaccarino as the new CEO of Twitter!@LindaYacc will focus primarily on business operations, while I focus on product design & new technology.
Looking forward to working with Linda to transform this platform into X, the everything app. https://t.co/TiSJtTWuky
— Elon Musk (@elonmusk) May 12, 2023
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন? তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।
এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?
জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এমআর//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন