রাজশাহী
রাষ্ট্রপতিকে বরণে সাজ সাজ রব পড়েছে পাবনায়
চার দিনের সফরে আগামী ১৫ মে নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার সফর ঘিরে সাজ সাজ রব পড়েছে পুরো পাবনায়। রাষ্ট্রপতির যাতায়াতের সড়ক ও পরিদর্শনের স্থানগুলো মেরামত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য্য বর্ধনে চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সড়ক-মহাসড়কগুলো।
তার এই সফর ঘিরে ক্ষমতাসীন নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শুধু দল নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। রাষ্ট্রপতিকে বরণ করতে জেলা প্রশাসন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে পুরো পাবনা জেলাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলার প্রস্তুতি চলছে। প্রায় ৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে। এসএসএফ, পিজিআর, ডিজিএফআই, এনএসআই, পাবনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থানগুলো পরিদর্শন ও তদারকি করছেন।
পাবনা শহরের সার্কিট হাউজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ চলছে। হেলিকপ্টারযোগে স্টেডিয়ামে অবতরণ করবেন বলে সেখানেও নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এছাড়া পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণ, পাবনা প্রেসক্লাব, পাবনা ডায়াবেটিস সমিতি, সদর গোরস্তান, জেলা পরিষদ, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পার্ক এবং স্কয়ার বাগানবাড়ি ও পারিবারিক কবরস্থানসহ রাষ্ট্রপতির সফরসূচির স্থানগুলোতে কর্মযজ্ঞ চলছে।
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে। নাগরিক সংবর্ধনা সফল করতে স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টুকে আহ্বায়ক ও পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খানকে সদস্য সচিব করে একটি নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সফরসূচি অনুযায়ী, ১৫ মে সকালে ঢাকা থেকে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে পাবনায় পৌঁছাবেন। পাবনা অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে অবতরণের পর গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে বিশ্রাম নেবেন। এরপর দুপুর সোয়া ১টায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দুপুর দেড়টায় তিনি আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে কবর জিয়ারত করবেন। এরপর স্কয়ার বাগানবাড়ির পারিবারিক কবরস্থান পরিদর্শন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর সার্কিট হাউসে ফিরে রাত যাপন করবেন।
পরেরদিন ১৬ মে সকাল ১০টায় পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ মে সকালে পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শন ও শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন। এরপর সার্কিট হাউসে রাত্রি যাপন করে ১৮ মে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল মতীন খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের রাষ্ট্রপতি আমাদের গৌরব। তার সম্মান রক্ষার্থে আমরা যা যা করণীয় তাই করবো ইনশাল্লাহ। এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনার জন্য আমরা প্রস্তুত। সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে একটি আনন্দঘন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিজ জেলায় আসবেন। জেলাবাসীর জন্য এটি খুবই আনন্দের খবর। বরণের প্রস্তুতি শেষের দিকে। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে পাবনাকে। রাষ্ট্রপতি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীসহ (এসএসএফ) সব বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমাদের বৈঠকও হয়েছে। নিরাপত্তার দিক দিয়ে কোন কিছুর ঘাটতি রাখা হয়নি।
পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি পাবনার হওয়ায় আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। শপথ নেয়ার পর এই প্রথম তিনি নিজ জেলায় আসছেন আগামী ১৫ মে। রাষ্ট্রপতিকে বরণ করে নিতে পাবনাবাসী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড মাঠে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সংবর্ধনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন