ক্যাম্পাস
কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভায় সেজেছে কুবি
তীব্র খরতাপ! মাঝেমধ্যে বৈশাখের শীতল বাতাস। পাকা আম-কাঁঠালের সুবাস। প্রকৃতিতে চলছে ভরা গ্রীষ্ম। বৃষ্টির খবর নেই। খরতাপে পুড়ে ছারখার পথ-ঘাট। একটু স্বস্তি আর বাতাসের খোঁজে গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। এমন সময়ে রক্তঝরা কৃষ্ণচূড়া আর রংধনুর মতো হরেক রঙ ঝড়াতে প্রকৃতিতে এসেছে নানা গোত্রের ফুলেরা। ষড়ঋতুর বাংলার প্রকৃতি যেন নির্দয়। শীত-বসন্ত পেরিয়ে ষড়ঋতুর বাংলায় এসেছে ফুল-ফলের ঋতু গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মের আগমনে প্রকৃতিতে সেজেছে নানান ফুলে-ফলে।
হলুদ আভার সোনালু আর বেগুনি জারুলের সঙ্গে এসেছে রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া। গাছে গাছে আম-কাঁঠালের মোহনীয় গন্ধ আর মাঠের সোনালি ধানে প্রকৃতির এমন আগমনে বিমোহিত এদেশ। প্রকৃতির কথা আসলেই পৃথিবীর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রকৃতির দেখা মিলবে এই বাংলাদেশে। এদেশের প্রকৃতি সাজে ভিন্ন ভিন্ন আভায়, ভিন্ন আবহে। দেশের গ্রামগঞ্জের সঙ্গে সেজেছে লালমাটির ক্যাম্পাসখ্যাত সবুজে ঘেরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠ ঋতুভেদে সাজে নানা রঙে। শরতের কাশফুল, বর্ষার রক্তমাখা কৃষ্ণচূড়া কিংবা গ্রীষ্মের জারুল-সোনালুয়। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি প্রকৃতির সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শহিদ মিনার দীর্ঘ সড়কের দুপাশে সাজানো কৃষ্ণচূড়ার সারি সারি গাছ। মাঝে মধ্যে বেগুনি রঙের জারুল আর হলুদ আভায় ঝুলছে সোনালুর তোড়া। দেখে মনে হবে রক্তঝরা কৃষ্ণচূড়ার মধ্যে রংধনুর কয়েক রঙ। জারুল-সোনালুর দেখা মিলে মুক্তমঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার মধ্যবর্তী সড়কে। জারুল-সোনালু তোড়ায় তোড়ায় দাঁড়িয়ে স্বাগত জানাচ্ছে দর্শনার্থীদের।এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পার্শ্ববর্তী পাহাড়েও ফুটেছে জারুল।
লালমাটির পাদদেশে বেড়ে উঠা বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম প্রধান সৌন্দর্য প্রকৃতি। প্রতিবছর বৈশাখ-আষাঢ়ের মধ্যে এখানে ফুটে রক্তাক্ত কৃষ্ণচূড়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে শহিদ মিনার সড়কের দুধারে ২০১৯ সালে দেড়শরও অধিক কৃষ্ণচূড়া রোপণ করে বিশ্ববিদ্যালয়। এরমধ্যে অধিকাংশ গাছে এবারই প্রথম ফুল ফুটেছে। অনেকে এই সড়কের নাম দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া সড়ক বলে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সম্মুখ অংশে, জিরো পয়েন্ট থেকে ফ্যাকাল্টি রোডে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। ক্যাম্পাসে এমন সাজ যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। মুগ্ধতা ছড়াবে প্রকৃতি প্রেমীদের। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ছাড়াও কুমিল্লা নগরী থেকেও দর্শনার্থীরা ভিড় করছে এক পলক জারুল-সোনালুর সৌন্দর্য দেখতে।
ক্যাম্পাস
খুলছে জবি, প্রাথমিকভাবে ক্লাস চলবে অনলাইনে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)১৮ আগস্ট থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে।আজকেই ছাত্রীদের জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল খুলে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
জানা যায়, ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে। অনলাইন ক্লাস শুরুর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্র উপদেষ্টা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় বসবেন।
এক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে জানান,তারা ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তাই প্রাথমিকভাবে অনলাইন ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলে ক্যাম্পাসে এমনিই ছাত্র রাজনীতি থাকবে না বলে তার মনে হচ্ছে, তবে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে সেটা নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, সিন্ডিকেট সভায় আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচসহ তাদের খোঁজ নেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আই/এ
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//
শিক্ষা
আজ থেকে শুরু একাদশ শ্রেণির ক্লাস
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে পিছিয়ে তা শুরু হচ্ছে আজ।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে একাদশের ক্লাস শুরু করতে বলেছে। এরইমধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো চিঠিতে কমিটি বলছে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় বুধবার (০৭ আগস্ট) শেষ হয়েছে। তবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরও কিছু কলেজ মাদ্রাসায় সিট খালি থাকায় ও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির আবেদন করেননি বা আবেদন করে কলেজ সিলেকশন পাননি তারা এবং যেসব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি বা নিশ্চায়ন করতে পারেননি তারা চতুর্থ ধাপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://www.xiclassadmission.gov.bd) প্রবেশ করে নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজের আসন সংখ্যা দেখে ৫টি থেকে ১০টি কলেজে আবেদনের চয়েজ দিতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ব্যাংক কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, ১১ থেকে ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত চতুর্থ বা সর্বশেষ ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ১৭ আগস্ট (শনিবার) রাত ৮টায় চতুর্থ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ১৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট (সোমবার) রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এসি//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন