লাইফস্টাইল
ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমাতে চান?
দিন দিন কম খেয়েও মোটা হয়ে যাচ্ছেন? কিংবা সময়ের অভাবে ব্যায়াম করতে পারছেন না? আবার বিভিন্ন কারণে ডায়েটও করা হয়ছে না। তাহলে কি মোটাই থেকে যেতে হবে? একদম না, ডায়েট, ব্যায়াম করা ছাড়াও ওজন কমানো সম্ভব। কিছু নিয়ম আছে যা মেনে নিয়ে ডায়েট ছাড়াও ওজন কমানো সম্ভব। লক্ষ্য রাখুন প্রতিদিন কি পরিমাণে ক্যালরি খাচ্ছেন এবং প্রতি বার এক চুমুক করে পানি পান করুন। এটি আপনার খাওয়ার পরিমাণ অনেক খানি কমিয়ে দিবে।
তরল ক্যালরি ত্যাগ করুন
অবসাদ আর ক্লান্তি দূর করতে অনেকের কাছেই কফির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এটি তরল ক্যালরির আধার, ওজন বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। তাই কফি থেকে বেরিয়ে আসুন। একই কাজ করুন সোডা, প্যাকেটজাত জুস বা অন্যান্য বেভারেজের ক্ষেত্রে।
আরো পরিশ্রমী হোন
ব্যায়ামের কাজটি দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই সারতে পারেন। অনেকভাবেই কাজটি করা যায়। দুপুরে খাওয়ার পর রেস্টরুমে ঝিমানো বন্ধ করুন। এলিভেটর উপেক্ষা করে সিঁড়ি বেয়ে উঠে যান। গাড়িতে ওঠার আগে একটু হেঁটে আসুন দূর থেকে। প্রয়োজনে অফিসের একটু আগে গাড়ি থেকে নেমে পড়ুন। এবার বাকি পথ হাঁটুন। এগুলো খুবই উপকারী ব্যায়াম।
সফলতার কথা লিখে ফেলুন
হয়তো উল্লেখযোগ্য কিছুই না। তবুও যতটুকু সফলতাই আসুক না কেন, তা লিখে ফেলুন। এতে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়বে। সারা দিনে যদি একবার সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন, তো সেটিই লিখে ফেলুন। আবার খাবার গ্রহণে যখনই আপনি নিয়ন্ত্রণের ছাপ রেখেছেন, তখনই তার কথা লিখে রাখুন। এতে কাজগুলো অভ্যাসে পরিণত করতে অনেক সুবিধা হবে।
খামখেয়ালিপূর্ণ খাবার নয়
অনেকেই হালকা-পাতলা খাবার খেতে গিয়ে এটা-সেটা বেছে নেয়। কিন্তু এতে আসলে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো সফলতা মেলে না। এই পদ্ধতিতে খুব দ্রুত ওজন কমে যায়। কিন্তু আবার স্বাভাবিক খাবার শুরু করলে ওজন বেড়ে যায়। আসলে এ পদ্ধতিতে ওজন হ্রাস-বৃদ্ধি চক্রের মধ্যে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ওজন আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
রেসিপিতে কম উপকরণ
খাবার তৈরির জিনিসপত্রের বেশির ভাগই প্যাকেটজাত উপকরণ। আপনাকে এই প্যাকেটের ধোঁয়াশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ খাবার তৈরিতে প্যাকেটজাত উপকরণের সংখ্যা যতো কমে আসবে, তত বেশি উপকার মিলবে।
পানির পরিমাণ
পর্যাপ্ত পানি না খেলে দেহের বিপাকক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এতে হজমপ্রক্রিয়া নষ্ট হতে থাকে। যারা খাদ্য গ্রহণে উদার, তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আর তা করতে পারেন পানির মাধ্যমে। যাতে মনোযোগ দেওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে শুরু করুন। এতে সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষুধা অনেক কমে যাবে।
ঘুমে মন দিন
ঘুম ঠিক না থাকলে ওজন বেড়ে যাবে হু হু করে। ‘আমেরিকান জার্নাল অব হেলথ প্রমোশনের গবেষণা অনুযায়ী, যারা প্রতি রাতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা ঘুমান, তাদের দেহে একেবারেই চর্বি জমে না। তাই ঘুমের বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
ভালমত চিবিয়ে খান
ভাল করে চিবিয়ে খাবার খান। এটি আপনাকে কম খেতে সাহায্য করবে। এর সাথে এই ভাবে খাবার খেলে খাবার সহজে হজম হয়ে যাবে।
সবজি খান
ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার হল সবজি। এটি আপনার সারাদিনের খাবারে পুষ্টি পূরণ করবে। এতে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি এবং ফ্যাট আছে। তাই ভাত বা মাংস খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সবজি যোগ করুন।
গ্রিন টি
আপনি যদি ডায়েট ছাড়া ওজন কমাতে চান তবে গ্রিন টি পান করুন। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আপনার শরীরে মেদ fat কাটাতে সাহায্য করবে।
চিনিকে না বলুন
চিনি এবং চিনি জাতীয় খাদ্য দ্রব্য আপনাকে মুটিয়ে দেয়। সাথে আপনার ব্লাড সুগার বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকা থেকে চিনি জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিন। হঠাৎ করে চিনি খাওয়া একদম বাদ দিতে না পারলে, আস্তে আস্তে করে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন।
এস
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ