জাতীয়
যে ৬ দেশের রাষ্ট্রদূত হারাচ্ছেন বাড়তি প্রটোকল
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবসহ ছয়টি দেশের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে দেয়া বাড়তি প্রটোকল সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই দূতাবাসগুলোকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন কারণে এ প্রটোকল হারাচ্ছেন ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতেরা তা জানা গেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এর কাছে থেকে।
সোমবার (১৫ মে) এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা।
ফারুক হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতরা বাসাবাড়ি এবং অফিসের নিয়মিত প্রটোকল পাবেন। তবে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সুবিধা তারা পাবেন না। রাষ্ট্রদূতরা কোথায় যাওয়ার সময় তাদের গাড়ির বহরের সামনে ও পিছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ও ফোর্স থাকত। এই সুবিধা এখন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। কারণ, আমাদের এখন পুলিশ বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে। পরবর্তীতে সেটি সুবিধাজনক সময়ে পূর্বের প্রটোকল দেয়া হবে।
ছয়টি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের নিরাপত্তা প্রটোকল প্রত্যাহারে সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা শুধু ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা প্রটোকল সুবিধাই বাতিল করেছি, বিষয়টি এমন নয়। আরও যেসব দেশের রাষ্ট্রদূতগণ এ সুবিধা চেয়ে আমাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তাদেরকেও এমন সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে অপারগতা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা প্রটোকল সুবিধা বাতিলের কারণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এমন সুবিধা দেয়া হয় না। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে আমাদের রাষ্ট্রদূতগণ তো দূরের কথা, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তিও উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে গেলে এমন সুবিধা দেয়া হয় না। আমরা এখন উন্নয়নের দিক থেকে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর পর্যায়ে পৌঁছাতে কাজ করছি। ফলে, উন্নত রাষ্ট্রগুলো যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে আমরাও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করছি। তাছাড়া আমাদের দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক উন্নত হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা নেই বলেই আমরা মনে করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবসহ ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমাদের দেশে নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়া হতো। এখন ক্রমান্বয়ে আরও হাফ ডজন দেশ একই সুবিধা চেয়েছে। ফলে, এটা আমাদের পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া এখন আমাদের নিরাপত্তা সদস্যদের পদ্মা সেতুসহ আরও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিয়োজিত করতে হচ্ছে।
ড. মোমেন জানান, আমরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বেতন-ভাতা দিয়ে থাকি। তাদেরকে আমাদের জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত করতে হবে। কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত যদি দেশের কোথাও যাতায়াতের জন্য আলাদা নিরাপত্তা প্রটোকল নিতে চান, তাহলে তাদের জন্য নির্দিষ্ট হারে অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে সে প্রটোকলের ব্যবস্থাও থাকবে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন