আইন-বিচার
পার্কে প্রতিবন্ধী শিশুকে ঢুকতে না দেয়ায় সেই ডিসির বিরুদ্ধে রিট
প্রতিবন্ধী শিশু ইয়ানাতকে পার্কে ঢুকতে না দেয়ার ঘটনায় রংপুরের ডিসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেছেন।
রিটে পাবলিক প্লেস, শপিং সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইল চেয়ার ও অবাধ চলাচলের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সব পার্কে প্রতিবন্ধী শিশুদের ৫০ শতাংশ খরচে পার্কের রাইডে ওঠারও অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, রংপুরের মেয়র, জেলা প্রশাসক রংপুরসহ ৭ জনকে রিটের বিবাদী করা হয়েছে।
গেলো ২৬ এপ্রিল রংপুরের চিকলি ওয়াটার পার্কের কিডস জোনে হুইলচেয়ারসহ মেয়েকে নিয়ে ঢুকতে গেলে রিজা রহমানকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে ৩ মে রিজা মেয়েকে নিয়ে রংপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
গেলো ২৭ এপ্রিল রিজা রহমান রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। তাতে তিনি পার্কসহ বিনোদনের বিভিন্ন জায়গায় হুইলচেয়ার নিয়ে যাতে যাওয়া যায়, এ ধরনের নির্দেশিকা টানানোর আবেদন জানান।
শিশুটির মা জানান, গেলো ২৬ এপ্রিল মেয়েকে একটু আনন্দ দেয়ার জন্য চিকলি ওয়াটার পার্কে নিয়ে যান রিজা রহমান। টিকিট কেটে মা ও মেয়ে পার্কের ভেতরে ঢোকেন। কিডস জোনের জন্যও আলাদা ১০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন। তবে সেখানে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মী জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভেতরে হুইলচেয়ার নিয়ে ঢোকা যাবে না। প্রায় পাঁচ মিনিট পর ওই কর্মী জানান, হুইলচেয়ার নিয়ে ভেতরে ঢোকার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া যায়নি।
রিজা রহমান বলেন, ‘কর্মীর সেই কথা শুনে আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা চালু করি। ভিডিওতে বলতে বলি কেন হুইলচেয়ার নিয়ে আমি ভেতরে ঢুকতে পারব না। আমি টিকিট কেটেছি। কোনো বিধিনিষেধ থাকলে টিকিট নিলেন কেন? তখন ওই কর্মী টিকিট ফেরত দিতে বলেন।’
১১ বছরে পা রাখা আল আয়মান ইয়ানাত সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। ইয়ানাত মা-বাবার একমাত্র সন্তান, পরিবারের সঙ্গে থাকে রংপুরে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন