Connect with us

আইন-বিচার

শিশু নিলয় হত্যার চার আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন

Published

on

সিরাজগঞ্জের আলোচিত শিশু নিলয় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। 

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, এরশাদ আলী ওরফে এরশাদ, আবুল কালাম ওরফে কালাম ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে কানা রিন্টু ও নুর মোহাম্মদ ওরফে কালা চোর ওরফে কালা ডাকাত।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ, অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন ভূইয়া। তাদের সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
 
আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন জানান, ২০০৬ সালের ১২ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জের সলংগা থানার ভরমোহনী গ্রামের আব্দুল হালিমের ৯ বছর বয়সী শিশুপুত্র আশিকুর রহমান নিলয়কে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে ফেরত দেওয়ার কথা ঠিক হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসামিরা কথা রাখেনি। ছেলেকে ফেরত না পেয়ে পরদিন ১৩ জানুয়ারি আব্দুল হালিম থানায় এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারনামীয় ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। 

আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৪ জানুয়ারি আব্দুল খালেকের বাড়ি সংলগ্ন ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশু নিলয়ের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আসামি এরশাদ আলী এবং নুর মোহাম্মদ ওরফে কালু ওরফে কালা ডাকাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

Advertisement

তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৬ সালের ১৪ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়। বিচার শেষে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৮/৩০ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় ৪ জন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো এরশাদ আলী ওরফে এরশাদ, আশরাফুল ইসলাম ওরফে কানা রিন্টু ওরফে রিন্টু, আবুল কালাম ওরফে কালাম ও নুর মোহাম্মদ ওরফে কালু ওরফে কালা চোর ওরফে কালা ডাকাত।

মৃত্যুদণ্ড কনফারমেশনের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। চার আসামির মধ্যে একজন নিয়মিত আপিল দায়ের করে এবং বাকী তিনজন জেল আপিল দায়ের করে। সবগুলো আপিল ও ডেথ রেফারেন্স একত্রে শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে চার আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেন।

হাইকোর্টের রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিল বিভাগে একজন আসামি নিয়মিত আপিল দায়ের করে এবং তিনজন জেল আপিল দায়ের করেন।  

আরআই

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান

Published

on

আইনজীবী-মো.-আসাদুজ্জামান

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’

উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।

Advertisement

২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর

Published

on

অতিরিক্ত-অ্যাটর্নি-জেনারেল-এস-এম-মুনীর

পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।

২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।

Advertisement

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে

Published

on

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।

এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it