রাজশাহী
রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও, পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড
রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। নগরীর মালোপাড়ায় অবস্থিত বিএনপির ওই কার্যালয়ের দিক দিয়ে কোনো ধরনের যানবহন চলাচল করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি কোনো জমায়েত করতেও দেওয়া হচ্ছে না। সিটি নির্বাচন উপলক্ষে পূর্বানুমতি ছাড়ায় একসঙ্গে ৫ জনের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবে না-এমন বিধি-নিষেধের কারণে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে বিএনপির ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
এদিকে গতকাল রাতেই মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩-এর সিডিউল ঘোষিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী মহানগরীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা জরুরি। এহেন পরিস্থিতিতে অনুনমোদিত যে-কোনো ধরনের পদযাত্রায় রাজশাহী মহানগরীতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও জননিরাপত্তা প্রতিবিধানে আগামী ২৩ মে ২০২৩ খ্রি. রাজশাহী মহানগরী আইন, ১৯৯২-এর ধারা-৩০ মোতাবেক আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার রাজশাহী মহানগরীতে সব ধরনের পদযাত্রা কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
এর ফলে আজ সকাল তেকেই নগরীর মালোপাড়া এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। পাশাপাশি মহানগর পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমকেও মাঠে নামানো হয়। তারা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিয়ে কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিএনপির ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
বিষয়টি স্বীকার করে মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ডিকেন বলেন, ‘আমােদের পার্টি অফিস ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কোনো লোক যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আশে পাশের দোকান পাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় এখন পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের কোনো সুযোগ নাই।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিটি নির্বাচনের বিধি-নিষেধের কারণে সকল ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ আছে। তাই বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নগরীতে করতে দেওয়া হবে না।’
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন