আইন-বিচার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারে ২৪ জেলে আটক
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরার অপরাধে ২৪ জেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠান।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ট্রলার, ১২টি মাছ ধরা জালসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামের ছগির হাওলাদার, মডের খাল এলাকার ইসমাইল গাজী, আল আমিন, সোবহান মোল্লা, রাকিব প্যাদা, বাদুরতলা গ্রামের রফিক নাজির, সাহাদাত হাওলাদার, ইলিয়াস সরদার, মাসুম খান, জামাল হাওলাদার, মুসা মাতুব্বর, ফয়সাল হাওলাদার, সেন্টু সাজ্জাল, আব্দুর রহিম তপু, মো. রাকিব ফকির, জাহাঙ্গীর খান, জয়নাল হাওলাদার, মো. হাসান গাজী, আল আমিন আকন, আবু হানিফ হাওলাদার, মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার, পশ্চিম হরিণটানা এলাকার আল আমিন জমাদ্দার, জুয়েল শেখ ও সুমন হাওলাদার।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মাহাবুব হাসান বলেন, সুন্দরবনে মৎস্য আহরণ ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সময়ে কিছু জেলে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ আহরণ করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারটি ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে। জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠান।
নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে যাতে কেউ বনে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান বন বিভাগের এই কর্মকর্তা।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন