লাইফস্টাইল
৪০ পেরুলেও দেখাবে ২৫ বছরের তরুণী!
বর্তমানে তারকা থেকে সাধারণ সকলেই ফিট থাকতে গ্রিন টি খেয়ে থাকেন। তবে এই গ্রিন টি শুধুমাত্র শরীরকেই নয় ত্বককেও তরতাজা রাখে। গ্ল্যামার কিংবা বিউটি দুনিয়ায় এখন এর বিচরণ অবাধ। বর্তমানের একাধিক প্রসাধনী দ্রব্যতেও গ্রিন টির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অবশ্য সেকথা আর আলাদাভাবে উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন।
গ্রিন টি ব্যবহারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়-
গ্রিন টি টোনার
যেকোনো প্রসাধনী দ্রব্যের দোকানে গ্রিন টি টোনার সহজলভ্য। এটি দোকান থেকে কিনে তুলো দিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করতে পারেন। অন্যদিকে কিনে ব্যবহার করতে না চাইলে, বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই টোনার।
প্রথমে এক কাপ পানিতে দুটি গ্রিন টির টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে সেটি ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। পরে সেটি তুলো দিয়ে গোটা মুখে লাগিয়ে নিন। উপকার মিলবে অল্প সময়ের মধ্যেই। উল্লেখ্য, গ্রিন টি টোনার ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় রাখতে ও পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে থাকে।
গ্রিন টি ব্যাগ
ঠিকমতো কিংবা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখে-মুখে ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে। সেই ফোলা ভাব কমাতে গ্রিন টি ব্যাগ খুবই কার্যকরী। একটি পাত্রে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে সেটি ফ্রিজে রেখে দিন। পরে সেই টি ব্যাগ খোলা জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ রাখুন। ফোলা ভাব কমে যাওয়ার পাশাপাশি মুখে ফিরবে স্বাভাবিক জেল্লাও।
গ্রিন টি ও অ্যালোভেরা জেল
গ্রিন টির পাশাপাশি অ্যালোভেরা জেলও ত্বকের জন্য ভীষণভাবে উপকারী, সেকথা অজানা নয় কারোরই। একটি পাত্রে দু চামচ অ্যালোভেরা জেল ও এক টেবিল চামচ গ্রিন টি নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরমধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাসও মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর সেই প্রলেপ ভালো করে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ধুয়ে টোনার কিংবা কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেয়া প্রয়োজন।
গ্রিন টি ব্যবহারের উপকারিতা-
গ্রিন টিতে ভিটামিন-ই বর্তমান। আর সেই কারণেই এটি ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফেরাতে ও ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভীষণভাবে কার্যকরী।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ গ্রিন টি। আর এই কারণেই এটি যদি ত্বকে লাগানো হয় তাহলে, এটি ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে থাকে, যা সূর্যের অতিরিক্ত ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখে।
‘জার্নাল অফ ড্রাগস ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে গ্রিন টির উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে জানানো হয়েছে, গ্রিন টি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে থাকে। আর সেই কারণেই দু’শতাংশ গ্রিন টির নির্যাস টপিকাল জেলে ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ এই জেল ত্বকের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি অ্যাকনের সমস্যাকেও নির্মূল করতে সহায়তা করে এটি।
‘মেডিকেল কলেজ অফ জর্জিয়া’র একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গ্রিন টি ত্বকের কোষকে সতেজ ও সজীব রাখতে সহায়তা করে থাকে। ত্বককে সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না এটি।
সূত্র: হেলথ লাইন
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন