আইন-বিচার
মেয়র তাপসের আইনি নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ডেইলি স্টারের বক্তব্য
দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি ‘রম্য রচনায়’ মানহানি হয়েছে দাবি করে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গেলো সোমবার (৫ জুন) মেয়র তাপসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান ডাকযোগে তাদের কাছে এ নোটিশ পাঠান। বুধবার (৭ জুন) তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডেইলি স্টার তাদের প্রিন্ট সংস্করণ ও অনলাইন সংস্করণে ‘কাটিং ট্রিজ টু মেক ওয়ে ফর এয়ার’ শিরোনামে একটি ‘কলাম’ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, কলামে ঢাকা সাউথ সিটি করপোরেশনের নাম বিকৃত করে ‘ধোকা সাউথ টাউন করপোরেশন’ করা হয়েছে। যিনি ‘কলাম’টি লিখেছেন, তিনি তার নিজের বক্তব্য উদ্ধৃতি চিহ্ন দিয়ে মেয়রের বক্তব্য বলে চালিয়েছেন, বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন।
গেলো ৫ জুন শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন মেজবাহুর রহমান। এতে বলা হয়েছে, মেয়রকে অপমান ও হয়রানি করার অপরাধমূলক অভিপ্রায়ে জাতীয় দৈনিক, অনলাইন প্রকাশনা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং নেটওয়ার্কে মানহানিকর অভিযোগ তৈরি ও প্রকাশ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়র, তার পরিবার ও তার প্রতিষ্ঠানের কষ্টার্জিত সুনামের ক্ষতি করা হয়েছে।
আইনি নোটিশে ডেইলি স্টারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘কলাম’টি সরিয়ে নিতে ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে নোটিশ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
ডেইলি স্টারের বক্তব্য
গেলো (১৩ মে) প্রকাশিত একটি রম্য রচনা নিয়ে ডেইলি স্টারকে দেওয়া আইনি নোটিশের বিষয়ে আজ এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর জবাবে আমরা বলতে চাই, ৫ জুনের আইনি নোটিশটি আমরা ৬ জুন সন্ধ্যায় লেক্স কাউন্সেলের কাছ থেকে পেয়েছি এবং সেখানে আমাদের উত্তর দেওয়ার জন্য মাত্র ২ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই সময়ের মধ্যে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।
আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, প্রেস ব্রিফিংয়ে রম্য রচনাটিকে একটি ‘রিপোর্ট’ বা ‘কলাম’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। এটি একটি রম্য রচনা ছিল। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই ধরনের রম্য রচনা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বেই প্রচলিত ও স্বীকৃত। লেখাটি ডেইলি স্টারের সাপ্তাহিক রম্য পাতা ‘স্যাটায়ারডে’-তে প্রকাশিত হয়েছিল।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন