চট্টগ্রাম
লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, ডাকাতের গাড়িচাপায় নিহত ১
লক্ষ্মীপুরে বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের পিকআপ ভ্যান চাপায় সফি উল্যা (৭০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছে। এ সময় আরও দুই পথচারী আহত হন।
ঘটনার সময় অপুর ছেলে অমি কর্মকারকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০টি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ডাকাতদলের ব্যবহৃত পিকআপসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের কলেজরোড এলাকার চৌধুরী সুপার মার্কেটের আর কে শিল্পালয়ে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
অপুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পিকআপ চাপায় আহত ইসমাইল হোসেনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপর আহত স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
অপু লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দা। নিহত পথচারী সফি উল্যা পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের ইটেরপুল এলাকার পানাম বাড়ির বাসিন্দা। আহত ইসমাইল হোসেন একই বাড়ির বাসিন্দা। অপর আহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অপুকে কুপিয়ে তার দোকানে স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায় ডাকাতদল। এসময় অপুর ছেলে অমিকেও তারা পিটিয়ে আহত করে। পালিয়ে যাওয়ার সময়ও তারা ককটেল ফাটাতে থাকে। ঘটনাস্থলের পাশে মোহাম্মদ আলী সড়ক দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে পালিয়ে যাওয়ার পথে বেপরোয়া গতির পিকআপভ্যান চাপায় লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের ইটেরপুল এলাকায় ৩ জন আহত হয়। এরমধ্যে সফি উল্যা ও ইসমাইল গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতার আনলে সফি উল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি হরিহর পাল বলেন, অপুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করেছে ডাকাতদল। তার দোকানে সকল স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
সদর হাসপাতালের (আরএমও) চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, পিকআপ চাপায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আহত একজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী অপুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের পিকআপের চাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন