Connect with us

আইন-বিচার

পুলিশ সদস্য হত্যা : ১০ বছর পর মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

Avatar of author

Published

on

বিগত ২০১৩ সালে মতিঝিলে বহুল আলোচিত পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদকসহ বিভিন্ন নামে নিবন্ধনকৃত ৯টি মোবাইল সিম।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে মূল পরিকল্পনাকারী রিপন নাথ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১০ এর একটি দল।

শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনি এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্নসহ অজ্ঞাত এক যুবককে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে জানা যায়, মৃত ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য এবং তার নাম কনস্টেবল বাদল মিয়া।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার রিপনকে প্রধান অভিযুক্ত করে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়াকে হত্যার অভিযোগে রিপন নাথ ঘোষসহ মোট ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।

Advertisement

রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রিপনের অন্যতম সহযোগী তার খালাতো ভাই গোপাল চন্দ্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়। এর কিছুদিন পর একটি মাদকবিরোধী অভিযানে রিপন নাথ ও তার একজন সহযোগী মাদকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হাতে গ্রেপ্তার হয়, যেখানে কনস্টেবল বাদল অভিযানিক দলের সদস্য ছিল। ২ মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসে রিপন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে, মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া কনস্টেবল বাদল মতিঝিল এলাকায় বসবাস করছে। বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারের পেছনে পুলিশ সদস্য বাদলের হাত রয়েছে বলে আসামিরা সন্দেহ করে। নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য রিপন তার সহযোগীদের নিয়ে কনস্টেবল বাদলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

রিপন বিভিন্ন সময়ে রেন্ট-এ-কারের প্রাইভেটকার চালানোর সুবাদে তার বিভিন্ন রেন্ট-এ-কারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কনস্টেবল বাদলকে হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিপন ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রেন্ট-এ-কার থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া অন্য সদস্যদের নিয়ে কনস্টেবল বাদলের কর্মস্থল শাহবাগ গোলচত্বর এলাকায় যায়।

বিশ্বজিৎ ও কনস্টেবল বাদল একই এলাকায় বসবাস করায় ও পূর্ব পরিচিত হওয়ায় কনস্টেবল বাদলকে কৌশলে ডেকে আনার জন্য বিশ্বজিৎকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী- বিশ্বজিৎ কনস্টেবল বাদলকে ডেকে এনে কৌশলে প্রাইভেটকারে উঠায়। তারা কনস্টেবল বাদলকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে এবং তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, একপর্যায়ে তারা রাজধানীর মতিঝিল কালভার্ড সংলগ্ন নির্জন এলাকায় এসে রিপন নাথ ও তার অন্যান্য সহযোগীরা গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কনস্টেবল বাদলকে হত্যা করে। পরবর্তীতে গুম করার উদ্দেশ্যে রাজধানীর মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনী এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে কনস্টেবল বাদলের লাশ ফেলে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়। রিপন মতিঝিল এলাকার চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল। সে কনস্টেবল বাদল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে এ মামলার বিচারকার্য চলমান থাকা অবস্থায় জামিনে বের হয়ে টাঙ্গাগাইলে আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করত এবং কিছুদিন পর পর বাসা পরিবর্তন করত।

আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সে দিনের বেলা টাঙ্গাইল-রংপুর রুটে বিভিন্ন বাসে হেলপারের কাজ করতো। এছাড়া সে ওই এলাকায় বাসের হেলপারির আড়ালে রাতের বেলা মাদক কারবার চালাতে থাকে। আত্মগোপনে থেকে মাদক কারবার পরিচালনার জন্য সে বিভিন্ন নামে নিবন্ধনকৃত মোবাইল সিম ব্যবহার করত। সে ২০১৩ সালের আগেও বেশ কয়েকবার মাদক মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে।

Advertisement

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আইন-বিচার

নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান

Published

on

আইনজীবী-মো.-আসাদুজ্জামান

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’

উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।

Advertisement

২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর

Published

on

অতিরিক্ত-অ্যাটর্নি-জেনারেল-এস-এম-মুনীর

পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।

২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।

Advertisement

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে

Published

on

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।

এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it