রাজশাহী
‘আমলাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ লুটপাট করছে’
এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা নিজেরা কিছু করে না। আমলাদের মাধ্যমে চুরি দুর্নীতি করছে। ফলে তাদের ধরার কোনো উপায় নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ওয়াসার এমডির কথা। তার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরে খবরের কাগজে লেখালেখি হচ্ছে। কিন্তু তার কিছুই হয় না। ওয়াসার এমডির চুরি, দুর্নীতির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতারাও পাচ্ছেন। হাজার হাজার আমলাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এ রকম লুটপাট করছে। বললেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও লেখক বদরুদ্দীন ওমর।
আজ শুক্রবার (১৬ জুন) প্রেস ক্লাবে গণ-সংস্কৃতি ফ্রন্ট আয়োজিত গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও সংবাদপত্র শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বদরুদ্দীন ওমর বলেন, বর্তমানে আইনের কাঠামোর মধ্যেই খুন-অপকর্ম হচ্ছে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছরের বেশি হয়ে গেছে। র্যাব এতদিনেও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। কারা খুন করেছে সবাই জানে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যেও সামান্য চাঞ্চল্য দেখা গেলেও কোন প্রতিবাদ দেখা গেলো না।
আওয়ামীলীগ নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,২০১৪ সালে নির্বাচনের আগেই ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়ে গেলো। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে মিটিং ডাকা হলো। সব ডিসি এসপি ছিলে সেই মিটিংয়ে।সেই মিটিংয়ে এইচ টি ইমামও ছিলেন। তিনি ডিসি এসপিদের কাছে জানতে চাইলেন, নির্বাচন হলে কী হবে?তখন ডিসি- এসপিরা বললেন, আওয়ামী লীগ ৩০ টা সিটও পাবে না। তখন ইমাম সাহেব বললেন,আপনাদের ধারনা ঠিক,বলুন ২৫০ টা সিট পেতে হলে কী করতে হবে?পরে যা করার তাই হয়েছে।সেটা এদেশের জনগণ জানেন।
বিএনপির সমালোচনা করে সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, আওয়ামী লীগকে তাড়াতে হবে। তাদের অধীনে নির্বাচন হবে না। বিএনপিও বলছে, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না সে কথা বিএনপি বলছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন মিছিল মিটিং করতে পুলিশের অনুমতি লাগবে। সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আমেরিকা বলছে ভিসা দেবে না। এ কথা বলার জোর হলো এই দেশের চোর -দুর্নীতিবাজ সবাই আমেরিকায় আছে। তাদের যেতে হবে। তাই আমেরিকা এই ভিসা নীতি দিতে পারছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নিউ এজ এর সম্পাদক নুরুল কবির, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন