আওয়ামী লীগ
রংপুরে রাজনৈতিক কারণে কম্প্রোমাইজ করেছি : বাণিজ্যমন্ত্রী
আমরা হয়তো রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরেছি। তার মানে এই নয় রংপুরে আামাদের ভোট নেই। আমরা রাজনৈতিক কারণে কম্প্রোমাইজ করেছি, যার কারণে হয়তো এই ফল। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাদের অর্ধেকেরও বেশি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। আল্লাহকে হাজির নাজির করে আপনাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি না করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে রংপুরে এমপি নির্বাচিত করতে হবে। আমাদের এবার রংপুর সদর আসনে নৌকার এমপি করতেই হবে। বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত কাউন্সিলদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির কোনো কোনো নেতা বিএনপির থেকেও কড়া ভাষায় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করছেন। জানি না কেন এ রকম করে কথা বলছেন তারা। তাদের এ রকম কড়া ভাষায় কথা বলার সুযোগ নেই। তারপরও তারা বলছেন। আমাদের আর বসে থাকলে চলবে না।
টিপু মুনশি বলেন, আজকে সারা পৃথিবীর কনসেপ্টে আমাদের অর্থনীতি, সার্বিক উন্নতির কারণে বিশ্বে রোল মডেল বাংলাদেশ। সারা পৃথিবী যখন আমাদের রোল মডেল বলছে ঠিক তখন বিএনপি রাজনৈতিক কারণে সমালোচনা করছে। তারা সমালোচনা করবেই। এটি মাথায় রেখে জনগণের কাছে আমাদের যেতে হবে। জনগণের কাছে যাওয়ার মতো কর্মকাণ্ড আমাদের রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কী ছিল তা সবারই জানা। আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক ভালো অবস্থায়। পাকিস্তানের অর্থনীতি এক সময় আমাদের থেকে ভালো ছিল। এখন আমাদের থেকে অনেক খারাপ অর্থনীতি পাকিস্তানের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য অনেক করেছেন, এখনো করে যাচ্ছেন। তাই আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকার জয় হবে। আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন।
অনুষ্ঠানে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত ২৩ জন কাউন্সিলর ও রংপুর জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য পারভীন আক্তারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন