ফুটবল
ফেডারেশন কাপের শেষ চারে মোহামেডান
বায়ান্ন স্পোর্টস ডেস্ক
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার (০২ জানুয়ারি) ২-১ গোলে জিতেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দুটি গোলই তারা পেয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের আট মিনিটের মধ্যে। যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমান চট্টগ্রাম আবাহনীর এবিমোবোই থ্যাঙ্কগড।
গত বছর সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় মোহামেডান। অন্যদিকে, গত আসরে সেমিফাইনাল খেলা চট্টগ্রাম আবাহনীর পথচলা এবার থামল কোয়ার্টার ফাইনালে।
ম্যাচের শুরুতে ছিল দারুণ লড়াইয়ের আভাস দেয় দু’দলই। আগ্রাসী ফুটবলের পসরা মেলতে পারলো না কেউই। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই আক্রমণ শানায় মোহামেডান। কিন্তু ডান দিক থেকে ওবি মোনেকের নিচু ক্রস সুলেমানে দিয়াবাতে ও শাহেদ মিয়া দুজনই নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে নষ্ট করেন সুযোগ। এরপর দুই দলের খেলায় ছিল না প্রত্যাশিত গতি।
৩৫ মিনিটে হঠাৎই ম্যাচে প্রাণ ফিরে। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে প্রায় ৪০ গজ দূরে এসে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমণ নষ্ট করে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসাইন। চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা লাল কার্ডের আবেদন জানালেও রেফারি সুজনকে দেন হলুদ কার্ড। রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ম্যাচ কমিশনার সৃজিত কুমার ব্যানার্জির কাছে আবেদন জানাতে প্রেস বক্সে চলে আসেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বল দখলের লড়াইয়ে দিয়াবাতেকে ফাউল করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুল হাসান। কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি সামলে নেন রেফারি। হলুদ কার্ড দেখান কামরুলকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে শাখাওয়াত হোসেন রনির শট ফেরান মোহামেডানের গোলরক্ষক। এরপর ৬৩ মিনিটে মোনেকের জোরালো কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে এগিয়ে যায় ফেডারেশন কাপের ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। অনিক হোসেনের ছোট পাসে বক্সের ভেতর থেকে শাহেদের প্লেসিং শট আরাফাত হোসেনের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
৭৩ মিনিটের অবাক করা গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক সাইফুল ইসলামের পাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি কামরুল। বলের দিকে ছুটে আসেন মোহামেডানের শাহরিয়ার ইমন। তাড়াহুড়ো করে কামরুল ক্লিয়ার করতে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু বল ইমনের পায়ে লেগে চোখের পলকে জালে জড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে থ্যাঙ্কগড হেডে ব্যবধান কমান। কিন্তু তা দলের হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
সেমিফাইনালে মোহামেডান মুখোমুখি হবে ঢাকা আবাহনী বনাম শেখ জামাল ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে।
হাসিব মোহাম্মদ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//