জাতীয়
দরিদ্র সবচেয়ে বেশি বরিশালে, কম চট্টগ্রামে
বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। গ্রামীণ বা নগর দরিদ্র কোনো বিবেচনাতেই বরিশালের অবস্থান ভালো নয়। অন্যদিকে, দারিদ্র্যের হার সব চেয়ে কম চট্টগ্রাম বিভাগে। অতিদারিদ্র্যের হিসাবে ঢাকার অবস্থান সবচেয়ে ভালো।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মৌলিক চাহিদা পূরণ করার মতো আয় যারা করতে পারে না, তারা দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়। মৌলিক চাহিদা পূরণ করে এমন ভোগ্যপণ্যের একটি তালিকার ভিত্তিতে বিবিএস জরিপ করে থাকে। বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, দিনে ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম আয়ের মানুষকে দরিদ্র বলা হয়।
বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, অতিদরিদ্র্যের দিক থেকেও সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে বরিশাল। এ বিভাগের ১১ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ অতিদরিদ্র। অতিদরিদ্রের জাতীয় হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ, বরিশালে অতিদারিদ্র্যের হার দেশের গড় দারিদ্র্যের হারের দ্বিগুণেরও বেশি।
গ্রামীণ অতিদারিদ্র্যও সবচেয়ে বেশি বরিশালে। ১৩ দশমিক ১ শতাংশ গ্রামীণ অতিদরিদ্র্য বরিশালে বসবাস করে। এক্ষেত্রে ঢাকা বিভাগের অবস্থা সবচেয়ে ভালো। এ বিভাগে এ ধরনের দারিদ্র্যরে হার ১ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামীণ অতিদারিদ্রের জাতীয় হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
সার্বিকভাবে বরিশাল বিভাগে গ্রামের ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। জাতীয় পর্যায়ে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। গ্রামীণ দারিদ্র্যের দিক থেকে সবেচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে খুলনা। এ বিভাগের ১৬ দশমিক ২ শতাংশ এ ধরনের দরিদ্র। নগর দারিদ্র্য এবং নগর অতিদরিদ্রের হিসাবে বরিশাল বিভাগের সামনে রয়েছে রংপুর বিভাগ। রংপুরে নগর দারিদ্র্য ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ। বরিশালে এ হার ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। নগর দারিদ্র্যের জাতীয় হার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, নগর অতি দারিদ্র্যের দিক থেকেও বিভাগগুলোর অবস্থান প্রায় একই রকম। এ ধরনের দারিদ্র্য সবচেয়ে বেশি রংপুর বিভাগে। সেখানে এ হার ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ময়মনসিংহে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ নগর অতিদারিদ্রের হার নিয়ে বরিশালের অবস্থান তৃতীয়। নগর অতিদারিদ্রের জাতীয় হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।
সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশের আয় বেড়েছে বেশি হারে
সবচেয়ে বেশি আয়ের পাঁচ শতাংশ মানুষের আয় গত ছয় বছরে যে হারে বেড়েছে, তার চেয়ে অনেক কম হারে বেড়েছে সবচেয়ে কম আয়ের পাঁচ শতাংশ মানুষের আয়। জাতীয় পর্যায়ে আয়ের অনুপাত নির্ধারণে ১০টি স্তর (ডিসাইল) ব্যবহার করে থাকে বিবিএস।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, সর্বনিম্ন পাঁচ শতাংশ আয়ের মানুষের আয় গত ছয় বছরে বেড়েছে নামমাত্র। গত ছয় বছরে সবচেয়ে কম আয়ের মানুষের আয় ১ দশমিক শূন্য ১ থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ হয়েছে। এর একটু ওপরের সারি ডিসাইল-২ এর পর্যায়ের মানুষের আয় আরও কম হারে বেড়েছে। ২ দশমিক ৮৩ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৮৬ হয়েছে। অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি আয়ের ডিসাইল-১০ এর পর্যায়ের মানুষের আয় ৩৮ দশমিক ১৬ থেকে বেড়ে ৪০ দশমিক ৯২ শতাংশ হয়েছে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন