জনদুর্ভোগ
রসিকে ১১৭ স্থানে পশু জবাই, বর্জ্য অপসারণে ১২ ঘণ্টা
পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশু যত্রতত্র জবাই না করে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) নির্ধারিত স্থানে জবাই করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। একই সঙ্গে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের মধ্য দিয়ে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
মেয়র মোস্তাফিজার রহমান জানান, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১১৭টি স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানগুলো ছাড়া যাতে কেউ উন্মুক্ত স্থান ও সড়কের ওপর পশু জবাই না করেন, এজন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে। পশু জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তিনটি জোনে বিভক্ত হয়ে ৩৩টি ওয়ার্ডে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করবে।
তিনি আরও যোগ করেন, রসিকের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির জন্য পানির সরবরাহ, সেবাপ্রাপ্তির সুব্যবস্থা, কোরবানির জন্য ইমাম ও মুয়াজ্জিন এবং মসজিদ-মাদরাসার হুজুরদের পাশাপাশি গোশত কাটাকাটির জন্য কসাই থাকবেন। কোরবানির পর বর্জ্যের দুর্গন্ধ রোধে ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রাখা হবে। আমরা চাই নগরবাসী যত্রতত্র জবাই না করে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করুক।
রসিক মেয়র বলেন, রসিকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিভাগ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এতে সিটির ১২০টি ট্রলি ও রিক্সাভ্যান, ২৭টি ডাম্প ট্রাক, তিনটি কমপ্যাক্টর ট্রাক, একটি হুইল লোডার, তিনটি ব্যাকহো লে-অডার, দুটি স্কীড লোডার, দুটি স্কারবটর ও দুটি পানিবাহী গাড়ি ব্যবহার করা হবে।
এ ছাড়াও পশুর বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সুবিধার্থে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে ০১৭১৮৫৪৩১৫৭ অথবা ০১৭১৪৫৬৬৩৮৩ (অঞ্চল-১), ০১৭২৩৮০৭৩৪৪ অথবা ০১৭৪৪৭১০০৪৪ (অঞ্চল-২) এবং ০১৭১৪৯২৫৬৪৪ অথবা ০১৭১২০২৬৮৮৫ (অঞ্চল-৩) নম্বরে যোগাযোগ করে নগরবাসী কন্ট্রোল রুমের সহায়তা নিতে পারবেন। এ ছাড়া যোগাযোগ করতে পারবেন হটলাইট ০১৭৩৩৩৯০১৫০ নম্বরে।
এদিকে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বেলা ২টায় মহানগরীর শাপলা চত্বর থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হবে। সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করবেন।
জনদুর্ভোগ
শনির আখড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ
কোটা আন্দোলনে ঘিরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও শনির আখড়া অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।
শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ফলে ঢাকা অভিমুখি সব প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সব পথ বন্ধ।
সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ (শনিবার) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
জেডএস/
জনদুর্ভোগ
ইন্টারনেট বন্ধে দৈনিক ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা
কোটা আন্দোলন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। এ সময় প্রতিদিন গ্রাহকরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেছে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি সকল ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই সারাদেশে দ্রুত মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের সকল এক্সেস যেনো ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় ইন্টারনেট এখন জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।
বিল গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে যে, অব্যাহত ইন্টারনেট সেবা চালুর সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার। কোনোভাবেই তা পরের রিচার্জের সঙ্গে যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ গ্রাহক ইতোমধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইডলাইন অনুসারে একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন গ্রাহকদের থেকে আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল না নেয়া হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।
গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি কোনোভাবেই যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়া না হয়। ভয়ভীতি তৈরি হয় এমন কিছু পোষ্ট না করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বহির্বিশ্বে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
এএম/
জনদুর্ভোগ
যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ
নিরাপত্তার শঙ্কায় মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও এবং দিয়বাড়ি থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কায় সাময়িকভাবে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করা হয়।
মেট্রোরেলের বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে। এদিন দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মিরপুর ১০ এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
উল্লেখ্য, এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন