Connect with us

ঢাকা

আজ হলি আর্টিজানে হামলার ৭ বছর

Avatar of author

Published

on

আজ ১ জুলাই। যেদিনে দেশের ইতিহাসে ঘটেছিল ভয়াবহ এক জঙ্গি হামলা। গত ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশান-২ এর লেক পাড়ের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। ওই দিন রাত ৮টা ৪০ মিনিট থেকে হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় এক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে জঙ্গিরা।

ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ জন বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হন ২২ জন। ওই দিন সারা রাত চেষ্টা করেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের হত্যাযজ্ঞ ও জিম্মিদশা বন্ধ করতে পারেনি। পরের দিন ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ অবসান হয় জিম্মিদশার, নিহত হয় হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি।

যে জঙ্গিরা হামলায় অংশগ্রহণ করে

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী একাধিক বাহিনী জানায়, হলি আর্টিজান হামলায় সরাসরি অংশ নেয় উচ্চ শিক্ষিত পাঁচ জঙ্গি। তারা জঙ্গি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। হামলায় অংশ নেয় মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র নিবরাস ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র মীর সামিহ মোবাশ্বের, বগুড়ার বিগিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদরাসার সাবেক ছাত্র খায়রুল ইসলাম পায়েল, বগুড়ার সরকারি আযিযুল হক কলেজের ছাত্র শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

১ জুলাই গুলশানে যা ঘটে

Advertisement

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত ৮টা ৪০ মিনিটে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস ওয়্যারলেসে খবর পান হলি আর্টিজান বেকারিতে গোলাগুলি হচ্ছে। খবর পেয়ে তিনি একটি টিম নিয়ে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন প্রচণ্ড গোলাগুলি হচ্ছে। কিন্তু পুলিশের আসার খবর পেয়ে রিপন কুমার দাসের টিমের ওপর গুলি ছোড়াসহ গ্রেনেড নিক্ষেপ করে জঙ্গিরা। এতে তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় রিপন কুমার দাস তার ঊর্ধ্বতন অফিসারদের বিষয়টি ফোন করে জানান। পরে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে ঘটনাস্থলে হাজির হন। এসময়ের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার খবর। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানসহ পুরো গুলশান এলাকা ঘিরে ফেলেন।

ডিএমপি কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা রাত ১০টার দিকে হলি আর্টিজানের প্রধান গেটে আবারও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। গ্রেনেড নিক্ষেপে আহত হয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বনানী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান ও ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিম মারা যান।

এর মধ্যে রাত সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন তৎকালীন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি এসময় সাংবাদিকদের জানান, হলি আর্টিজানের ভেতরে অন্তত ২০ জন বিদেশিসহ কয়েকজন বাংলাদেশিও আটকা পড়েছেন। ভেতরে যারা আছেন, তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য তারা বিপথগামীদের সঙ্গে কথা বলতে চান।

এরপর রাতভর চলতে থাকে জিম্মিদশা। হাজার চেষ্টা করেও জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে রাত দেড়টার দিকে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী পাঁচ তরুণের ছবি প্রকাশ করে হামলার দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

Advertisement

২০ মিনিটে হত্যাযজ্ঞ শেষ করে নিবরাসরা

হলি আর্টিজান হামলার মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, হামলা শুরুর প্রথম ২০ মিনিটে হলি আর্টিজানে কিলিং মিশন সম্পূর্ণ করে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা দেশি-বিদেশিদের গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে বাইরে অবস্থানরত নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে পাঠায় তারা।

‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’

রাতভর চেষ্টা করেও সফল না হওয়ায় পর দিন ২ জুলাই সকালে শুরু হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে ১২ ঘণ্টার জিম্মিদশার অবসান ঘটায়। মাত্র ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যেই সব সন্ত্রাসীকে নির্মূল করে ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’র পর জঙ্গিদের হাতে নিহত ২০ জনের মরদেহ বের করে নিয়ে আসা হয় হলি আর্টিজান থেকে। এদের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানের, একজন ভারতের ও ৩ জন বাংলাদেশি।

উগ্রবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য ছিল এই হামলা

Advertisement

হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলার পর এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে। তাদের তদন্ত উঠে আসে জঙ্গিরা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হলি আর্টিজানে বিদেশি নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি সংগঠনের সহায়তা ছাড়াই দেশীয় জঙ্গিরা এই হামলা চালায়। ‘নব্য জেএমবি’ সদস্যরা দেশে উগ্রবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ হামলা চালায়।

হলি আর্টিজান হামলার মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট জানায়, দেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করার পরিকল্পনা থেকে হলি আর্টিজানে হামলা করে নব্য জেএমবির সদস্যরা। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাইবান্ধার সাঘাটায় নব্য জেএমবির শুরাকমিটির এক বৈঠকে এই হামলার পরিকল্পনা হয়।

হলি আর্টিজান মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ

হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তথাকথিত জিহাদ কায়েমের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নব্য জেএমবির সদস্যরা গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় ও দানবীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হলি আর্টিজান হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

ভয়াবহ এই হামলার বিচার কাজ এখনো শেষ হয়নি

Advertisement

বিগত ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলার বিচার কাজ এখনো শেষ হয়নি। হলি আর্টিজানের হামলার ঘটনার পর দায়ের করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সিটিটিসি হামলার দুই বছরেরও বেশি সময় পর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ২০১৮ সালের ৩ জুলাই। পরে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে খালাস দেন বিচারিক আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ এবং মামুনুর রশিদ রিপন। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

একই বছরের ৩০ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির ডেথরেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে আসে। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। এরপর আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে আর রায়ে খালাস পাওয়া একজনের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এখনো মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে নতুন জঙ্গি সংগঠন

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর দেশে ব্যাপক জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তার হয় হাজার হাজার জঙ্গি। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে নতুন জঙ্গি সংগঠন। নতুন জঙ্গি সংগঠনটির নাম হলো ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’।

Advertisement

সংগঠনটির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে জানা যায়, দেশের পার্বত্য অঞ্চলে কুকি-চিন নামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ছত্রছায়ায় নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানসহ আশপাশের এলাকার গহিন পাহাড়ে তারা সংগঠিত হচ্ছিল। পাহাড় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা সমতলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিল। সংগঠনটির ডাকে দেশজুড়ে অর্ধশতাধিক তরুণ ঘর ছেড়েছে পাহাড়ে যান।

ঘর ছাড়ার ঘটনার পর এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। র‍্যাবের অভিযানে পাহাড়ের ক্যাম্প থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া গত শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে মোস্ট ওয়ান্টেড দুর্ধর্ষ জঙ্গি শামিন মাহফুজকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।

সিটিটিসি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও মূল ব্যক্তি শামিন মাহফুজকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের উদ্দেশ্য সশস্ত্র জিহাদ করা। তাদের মতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য যারা কাজ করে তারা মুরতাদ। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। তবে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিশ্চিত হতে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।

নতুন জঙ্গি সংগঠনের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণদাতা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিনের প্রধান নাথান বমের বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমরা নাথান বমের সঙ্গে শামিনের সর্বশেষ যোগাযোগটা এখনো উদঘাটন করতে পারিনি। নতুন জঙ্গি সংগঠনের ডাকে হিজরতে যাওয়া অধিকাংশকেই আমরা গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। আশা করছি, শামিন মাহফুজকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হবে।

Advertisement

আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় দুই জঙ্গিকে

গত ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা জঙ্গিদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দুই জঙ্গির ছিনতাইয়ের ঘটনার পর দেশব্যাপী আলোড়নের সৃষ্টি হয়ে। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ১০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও পলাতক জঙ্গিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

গ্রেপ্তার জঙ্গিরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সিটিটিসিকে জানায়, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড হলেন নিষিদ্ধ-ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এই ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল কয়েক মাস আগে। সহযোগীদের সঙ্গে জঙ্গিরা যোগাযোগ রাখত মোবাইল ফোনে। কাশিমপুর কারাগার থেকে জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। মোবাইল ফোন নিয়ে একবার কারারক্ষীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে জঙ্গিরা। সেটি জব্দ করা হয়। পরে আবারও তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করে।

গ্রেপ্তার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, বিভিন্ন জনকে টাকা দিয়ে জঙ্গিরা কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। এছাড়া জঙ্গিদের সেলে দীর্ঘদিন টেলিভিশনও ছিল। তারা নিয়মিত টেলিভিশন দেখত, সংবাদ দেখত। টাকার বিনিময়ে কারাগারে বসে জঙ্গিরা নিয়মিত এসব সুবিধা নিত।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ঢাকা

মন্দির পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা

Published

on

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আরিয়াব এলাকার সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও বিএনপি’র নেতা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভার আরিয়াব দুর্গা মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মন্দির কমিটির লোকজনদেরকে যে কোনো হামলার প্রতিরোধে আশ্বাস দিচ্ছেন।

তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিবাদ লাগাতে প্রস্তুত দুষ্কৃতকারী। তাই রূপগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা উদ্যোগ নিয়েছে। যতদিন দেশ শঙ্কামুক্ত না হচ্ছে মন্দির ভাঙচুর প্রতিরোধে আমরা এভাবে পাহারায় থাকব।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব ভূঁইয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, তারই অংশ আজকের এই পাহারা।

তারাবো পৌরসভার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাসান আরব বলেন, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ যেন সংখ্যালঘু পরিবারের উপরে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সবসময় পাহাড়া থাকবে।

এসয়ম উপস্থিত ছিলেন, তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সাউথ, সহ-সভাপতি আবুল সাউদ, আলমগীর মীর, যুবদলের সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড মোখলেস সাউথ,মকবুল হোসেন, শিক্ষার্থী হাসান ভূঁইয়া, নীরব মিল্কি, আরিয়ান প্রমূখ।

Advertisement

 

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

গাজীপুর জেলা কারাগারে গোলাগুলি

Published

on

গাজীপুর-জেলা-কারাগার

হঠাৎ করেই গোলাগুলি শুরু হয়েছে গাজীপুর জেলা কারাগারে । বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ গোলাগুলি শুরু হয়।

গুলির শব্দে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।

গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কারাগারে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ভেতরে ১৩ জন কারারক্ষী এবং ৩ জন কয়েদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা

Published

on

রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it