জাতীয়
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন সমাপ্ত
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শেষ হয়েছে।
অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার চলতি অধিবেশন সমাপ্তির ঘোষণা দেন।
এর আগে ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি বাস্তুহারাদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণের অডিও শুনানো হয়। ৯ মিনিট ১০ সেকেন্ডের এই ভাষণটি বাংলাদেশ বেতার থেকে সংগ্রহ করা হয়।
গেলো ৩১ মে থেকে ২২ কার্যদিবস পর্যন্ত অধিবেশন চলার পর আজ ৬ জুলাই জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হয়। গত ১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’য় সর্বোত্তম জনকল্যাণের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এরপর গত ২৬ জুন জাতীয় সংসদে এই বাজেট পাস হয়।
অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটসহ সামগ্রিক বাজেট আলোচনায় ১৮৭ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন এবং মোট ৩২ ঘন্টা ৩ মিনিট আলোচনা হয়। বাজেট পাস ছাড়াও এ অধিবেশনে ১৪টি বিল পাস হয়। পাশের অপেক্ষায় আছে ৬টি বিল। সংশ্লিষ্ট কমিটির পরীক্ষাধীন ১১টি বিল। কমিটির রিপোর্ট উপস্থান হয় ৫টি। কমিটি পুনঃগঠন হয় ৪টি। অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয় ৪৭টি। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ৩৩টি নোটিশ পাওয়া গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ৯৭ টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, তারমধ্যে তিনি ৫৬ টি প্রশ্নের উত্তর দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য প্রাপ্ত মোট ১ হাজার ৮৭৯ টি প্রশ্নের মধ্যে মন্ত্রীরা ১ হাজার ৩৩৩ টি প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীবর্গ সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
এই অধিবেশনটি ছিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের বাজেট ও একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনটি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পঞ্চম ও শেষ বাজেট অধিবেশন।
অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন ,যাঁর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেইসাথে তিনি ৩০ লাখ শহিদ এবং দু’লাখ মা-বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
স্পিকার বলেন, সংসদীয় পদ্ধতিতে বাজেট অধিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই সরকারের এক বছরের আয়-ব্যয় ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের হিসাব বিবরণী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। বিগত এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও আগামী এক বছরে সরকারের আর্থিক কর্মকান্ড নিয়ে এ সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সংসদ-সদস্যরা তাদের সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে সরকারি আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজেটকে জনকল্যাণমুখী করার পরামর্শ প্রদান করেছেন। সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ-সদস্যরা ২০২৩-২০২৪ আর্থিক বছরের বাজেটের খুঁটিনাটি তুলে ধরে বাজেটকে আরো অর্থবহ ও বাস্তবমুখী করতে ভূমিকা রেখেছেন। এ অধিবেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য তিনি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, এ অধিবেশনে ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জীবন-জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে সকল বৈষম্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মোস্তফা কামাল বর্তমান সরকারের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন। বাজেটে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের প্রতিফলন ঘটেছে। ২০৩০ সালে এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জনসহ ‘রুপকল্প- ২০২১’ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের বাজেট প্রণীত হয়েছে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে- যেখানে অর্থনীতির চালিকা শক্তি হবে উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি। কোভিড-উত্তর বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ সবার জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করে মানুষের সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন এবং তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে এ বাজেটে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এ বাজেট বাস্তবায়নে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে। এদেশের আপামর জনগণের স্বপ্ন হচ্ছে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ আমাদেরই করতে হবে। সংসদ-সদস্যদেরকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে এ গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, অব্যাহত উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ নানা আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
স্পিকার বলেন, ‘আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ দেশের যে অঞ্চলেই বসবাস করুক না কেন, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সমতার ভিত্তিতে পাবে। আসুন, আমাদের মাতৃভূমিকে এমনভাবে গড়ে তুলি যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী, উচ্চ অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সদস্যবৃন্দ অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে আমি আশা করি।’
তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে সংবিধানকে সমুন্নত রেখে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনকল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন