Connect with us

অন্যান্য

ইবির হল খোলার প্রথম দিনেই কম্পিউটার চুরির অভিযোগ!

Avatar of author

Published

on

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল খোলার প্রথম দিনই চুরির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে হলের ১১৭ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম কক্ষে প্রবেশের পর এই অভিযোগ করেন। ব্যালকনির গ্রিল কেটে তার কক্ষে থাকা ৪০ হাজার টাকা সমমূল্যের ডেস্কটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে এসে বিকেল ৫টার দিকে তিনি কক্ষে প্রবেশের জন্য তালা খুলেন। তালা খুলে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে দেখনে পান দরজার ছিটকিনি ভিতর থেকে আটকানো। পরে অনেক চেষ্টায় দরজা খুলতে ব্যর্থ হলে তিনি আনসার সদস্যদের সহায়তায় হলের পিছন দিকে গিয়ে ব্যালকনির দুইটি গ্রিল কাটা দেখতে পান। একইসঙ্গে পিছনের দিকের ব্যালকনির দরজা খোলা পান তারা। জানালার ভাঙ্গা অংশ দিয়ে দরজা খোলা হতে পারে ধারণা ভূক্তভোগী ও আনসার সদস্যদের।

তিনি জানান, কক্ষে ৪০ হাজার টাকা সমমূল্যের ডেস্কটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে। একইসঙ্গে কক্ষের বিভিন্ন জিনিসপত্র অগোছালো দেখনে পান ঐ শিক্ষার্থী। এছাড়াও ওই কক্ষে আরেক আবাসিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ম্যাগনিফাইয়িং মেশিন ভাঙ্গা অবস্থান দেখনে পান তিনি।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় ভালোভাবেই দরজা জানালা আটকিয়েছিলাম। কিন্তু জানালার একটা কাচ ভাঙ্গা ছিল। গ্রিল কেটে ওই জায়গা দিয়ে পিছনের দরজা খোলা যায়। আমার ৪০ হাজার টাকা দামের কম্পিউটার চুরি হয়েছে। বাকি দুই রুমমেট এলে কি কি ক্ষতি হয়েছে বিস্তারিত জানা যাবে। এই অবস্থা দেখে আমি প্রভোস্ট স্যারকে বিষয়টি জানালে তারাও ঘটনাস্থলে এসে দেখেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, চুরির বিষয়টি বিকেলে জানতে পেরেছি। ছুটির দিনই প্রভোস্টকে বলেছিলাম আপনার হলের পিছনে তিনটা রুমে সিটকিনি মারা নেই। গ্রিলগুলোও দূর্বল। তাছাড়া হলটির পিছন সাইডে লোক যাওয়ার মত কোনো পরিবেশ নেই। ওইদিকে সিসি ক্যামেরাও ঠিক নেই। বারবার প্রভোস্টকে জানানোর পরেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

Advertisement

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আমি ইতোমধ্যে ট্রেজারার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। দক্ষিণ পাশে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নাই। ওদিকে শাপের ভয়ও আছে। কালকে অফিস খুললে হল বডি নিয়ে বসবো। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ছেলেটার কি কি ক্ষতি হয়েছে জানতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিকেলে প্রভোস্ট আমাকে চুরির বিষয়টি জানিয়েছে। ওইসময় আমি দুইজন সহকারী প্রক্টর আর সিকিউরিটি অফিসারের সাথে প্রভোস্টকে কথা বলতে বলেছি। এখন হলের ঘটনা যেহেতু তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আমরা সহযোগিতা করবো। আগামীকাল (শনিবার) ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রভোস্টের সাথে আবার কথা বলবো।

তিনি আরো বলেন, হলটার পিছন দিকে আসনারদের যাওয়ার মত কোনো পরিবেশ নাই। প্রভোস্ট কাউন্সিলকে বারবার বলেছিলাম হলের চারপাশ পরিষ্কার করতে। কিন্তু কয়েকটি হল সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়নাই। বারবার বলার পরেও সিসিক্যামেরা জোরদার ও হলের চারপাশ পরিষ্কার করা হচ্ছে না। যার ফলে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আমরা বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছি।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অন্যান্য

ফের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবির শিক্ষার্থীরা

Published

on

কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ চার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

এর আগেও শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে গেলো ১, ২, ৩ ও ৪ জুলাই টানা চার দিন যথাক্রমে ১০ মিনিট, ২০ মিনিট, ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ও ৩৫ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

কোটা বাতিলের দাবিতে আজ শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি

Published

on

কোটা-আন্দোলন

কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে আজ সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সারা দেশে কয়েক দিন ধরে টানা আন্দোলন করছেন তারা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ মোড়ে অবরোধ শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। যদি বাধ্য করা হয়, আমরা প্রয়োজনে সারা দেশে হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আজকের ছাত্রসমাজকে আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে, এ দায় নির্বাহী বিভাগ এড়াতে পারে না।

এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও সায়েন্স লাইব্রেরি খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি না খোলেন তাহলে আমরা নিজ দায়িত্বে খুলে নিতে বাধ্য হবো।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

৪র্থ দিনের মতো চলছে কোটা বিরোধী আন্দোলন, শাহবাগ অবরোধ

Published

on

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালসহ চার দফার দাবিতে চতুর্থদিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় আশেপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে শাহবাগ অচল হয়ে পড়ে।

শনিবার (৪ জুলাই) বেলা আড়াইটা থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব হলের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি-বুয়েট, ইডেন কলেজ হয়ে বেলা পৌনে ৫টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। আজকের বিক্ষোভে সর্বোচ্চ উপস্থিতি হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও শিক্ষার্থীরা যোগদান করেন।

এর আগে গতকাল (শুক্রবার) ৩ দিন ব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির শুক্রবার ১ম দিনের কর্মসূচিতে অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় ৭০টিরও অধিক বিভাগ ও ইন্সটিটিউট। ফলে আজ বিভিন্ন বিভাগ থেকেও পৃথক পৃথক ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড়ে বসে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফলে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সাইন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সাধারণ জনগণ গাড়ি ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে থাকেন। তবে এম্বুলেন্সের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে দেয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, “কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন৷

Advertisement

আরও পড়ুন: যবিপ্রবিতে ৭ দিন ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধে শাহবাগের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা নিজেদের অবস্থান গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উপর নির্ভর করবে কতক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে আজকে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। আগামীকাল আমাদের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষ হবে। আজ শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিরভপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ৪ দফা দাবিতে দেশব্যাপী লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রসমাজ। ৪ দফা দাবিগুলো হলো-

১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২। ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ছাড়া);
৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it