ফুটবল
লিও’র গোমড় ফাঁস!
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ফুটবল বিশ্ব শান্ত, ভদ্র এবং ঠান্ডা মেজাজের ফুটবলার হিসেবে চেনেন সবাই। আসলেই কি তাই? মেসির সেই শান্ত-ভদ্র মেজাজের আড়ালের খবর ফাঁস করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলরক্ষক জারজি দুদেক। তার দাবি মেসিকে এত ভদ্র দেখা গেলেও সে ভেতরে ভেতরে একদম অন্যরকম, যা কিনা মানুষ বিশ্বাসও করতে পারবে না।
লিভারপুলেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ২০০৫ সালের সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও দলটিতে খেলেছেন। আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর দুটি শট ঠেকিয়েছিলেন অতিরিক্ত সময়ে পরে টাইব্রেকারের দুটি শট ঠেকান। এরপর ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জারজি দুদেক খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ওই সময়টাতেই নিজেদের সেরা ফর্মে ছিলেন ক্লাব বার্সেলোনা ও লিওনেল মেসি।
সেই সময়টাতে খুব কাছ থেকেই আর্জেন্টাইন তারকাকে দেখেছেন দুদেক। ওই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানালেন, মেসি নাকি মাঠে একজন প্রতারক ও অসভ্য। সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন দাদেক, সেখানেই লিখেছেন এসব কথা।
আজ (বুধবার) রাতে আরেকটি এল ক্লাসিকোতে মাঠে নামছে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। মেসি বরাবরই এই লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। নেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও। তাই অনেকটাই রং হারিয়েছে লা লিগার লড়াইটি। কিন্তু সেই সময়টাতে মেসির কাণ্ডকীর্তি এখনও ভোলেননি সাবেক রিয়াল গোলরক্ষক দাদেক।
আত্মজীবনীতে এল ক্লাসিকোর স্মৃতি আওড়াতে গিয়ে মেসিকে ধুয়ে দিয়েছেন দুদেক। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার কোচ ছিলেন গার্দিওলা। মেসি-গার্দিওলার যে জুটিকে মনে রেখেছে ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু তাদেরকে দুদেক নেতিবাচক কারণে মনে রেখেছেন উল্লেখ করে বলেন, সে (মেসি) ছিল প্রতারক এবং যন্ত্রণাদায়ক। বার্সেলোনা এবং পেপ গার্দিওলাও তাই। তারা খোঁচানোর জন্য প্রস্তুতই থাকতো এবং সেটা করতো নিখুঁতভাবে। তারা হোসে মরিনহো (রিয়ালের তখনকার কোচ) এবং তার দলকে ভীষণ কষ্ট দিতো।
রিয়ালের সাবেক দুই ডিফেন্ডার পেপে এবং রামোসের সঙ্গে মেসির আচরণের প্রসঙ্গ টেনে দুদেক বলেন, আমি পেপে আর রামোসের সঙ্গে মেসিকে এমন সব অসভ্যতা করতে দেখেছি যে, আপনি হয়তো তার মত ভদ্র এবং দেখতে ভালো মানুষ মনে হওয়া কারো কাছ থেকে এটা কল্পনাও করতে পারবেন না।
শুধু যে তার আত্মজীবনীতে মেসিকে নিয়েই লিখেছেন তা নয়। কথা বলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়েও। রোনালদোকে বলতে গিয়ে দুদেক লিখেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দাম্ভিক কিন্তু সে পর্দার আড়ালে সাধারণ একজন। এটার ব্যাপারটা হচ্ছে মানুষ তাকে কীভাবে উপলব্ধি করে, কম বা বেশি। রাউলের মতো সেও আত্মকেন্দ্রিক, দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ও জয়ী হতে চায়।
হাসিব মোহাম্মদ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//