খেলাধুলা
আইসিইউতে কিংবদন্তি গোলরক্ষক ফন ডার সার
ক্রোয়েশিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নেদারল্যান্ডের কিংবদন্তি গোলরক্ষক এডউইন ফন ডার সার। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা এই গোলরক্ষককে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে সারের সাবেক ক্লাব আয়াক্স।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্রোয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফন ডার সারকে। পরবর্তীতে এই ডাচ কিংবদন্তিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নেদারল্যান্ডের হয়ে ১৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ডার সার পরবর্তীতে দেশীয় ক্লাব আয়াক্সের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘এডউইনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। এখানকার সবাই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে। আমাদের এখন পূর্ণ মনোযোগ তার সুস্থ হওয়ার দিকে।’
২০০৯ সাল পর্যন্ত আয়াক্সের নির্বাহী প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই বছরই ডাচ লিগে তৃতীয় স্থানে বিদায়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয় আয়াক্স। এরপরই ফন ডার সার পদত্যাগ করেন।
Ajax statement: “On Friday, Edwin van der Sar has had a bleeding around his brain. He’s currently in hospital in the intensive care unit and is in a stable condition. Once there’s more concrete information, an update will follow”.
Thoughts with Edwin 🙏🏻❤️ pic.twitter.com/DCsyRVGkiJ
— Fabrizio Romano (@FabrizioRomano) July 7, 2023
এর আগে ২০১১ সালে ম্যানইউর হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন এই কিংবদন্তি গোলরক্ষক। ৫২ বছর বয়সী সাবেক গোলরক্ষক ইউনাইটেডের হয়ে ২৬৬ ম্যাচ খেলেছিলেন। রেড ডেভিলদের তিনটি প্রিমিয়ার লিগ ও ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখেন তিনি। এছাড়া তিনি প্রিমিয়ার লিগে ফুলহাম ও সিরি ‘আ’য় খেলেছেন জুভেন্টাসের হয়ে।
পরবর্তীতে ২০১২ সালে তিনি আয়াক্সের বোর্ডে যুক্ত হন। এরপর ক্লাবটির প্রধান হন ২০১৬ সালে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন