Connect with us

ছাত্র-শিক্ষক

‘জবি শিক্ষার্থী খাদিজাকে জামিন না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন’

Avatar of author

Published

on

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা ১০ মাস ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাঁকে জামিন না দেওয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বুধবার (১২ জুন) সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। একই সঙ্গে খাদিজার মুক্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিশ্চুপের সমালোচনা করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধ রোধের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলেও প্রথম থেকেই এর অপব্যবহার হচ্ছে। আইনমন্ত্রী নিজেও আইনটির অপব্যবহার যে হচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন। প্রকৃতপক্ষে জামিন কোনো দয়া-মায়ার বিষয় না, বরং অধিকারের বিষয়। এভাবে জামিন না দিয়ে খাদিজার মতো একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন রাষ্ট্র কোনোভাবেই ধ্বংস করে দিতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী মাসের পর মাস বন্দি থাকবেন আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিয়ে নিশ্চুপ থাকবেন, এটিও চলতে পারে না। আমরা খাদিজার মুক্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চুপ থাকারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সুজনের পক্ষ থেকে খাদিজাকে অবিলম্বে জামিন দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খাদিজার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকে খাদিজার জামিনের আবেদন আদালত কর্তৃক বারবার খারিজ হচ্ছে। খাদিজাকে জামিন না দেওয়া চরম অমানবিক এবং আইন ও নীতি ভীরু, যা নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব ও বিচারবিভাগের স্বাধীনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অবিলম্ব খাদিজাকে জামিন দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা রকমের নিবর্তনমূলক আইনগুলো বাতিলেরও জোর দাবি জানাচ্ছি

নাগরিকের বাকস্বাধীনতা হরণের লক্ষেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা রকমের নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে সুজন বলে, ২০১৮ সালে নির্বাচনের মুখে আইনটি তৈরির সময় থেকেই এ আইনের জামিন অযোগ্য ১৪টি ধারা নিয়ে নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও প্রতিবাদ হয়েছিল এবং হচ্ছে। বিশিষ্টজনদের মতে এ আইনের পরিধি এতটাই ব্যাপক যে যেকোনো ব্যক্তি যে কারও বিরুদ্ধে এ আইনে অভিযোগ করতে পারেন এবং সে কারণে কারাভোগ, এমনকি দোষী বলে সাব্যস্ত হতে পারেন। এই আইনের আওতায় এর আগেও দেশের অনেক মানুষ গ্রেপ্তার, কারারুদ্ধ ও নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এমনকি কারও কারও মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে, যা মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে নাগরিক অধিকারসহ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

Advertisement

বিবৃতিতে আর বলা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সব প্রকার মানবাধিকারের চালিকা শক্তি। মানুষকে মুক্ত স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। কেননা এভাবে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা যায় না। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনের রেখে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা।

প্রসঙ্গত, খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ছাত্র-শিক্ষক

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিনন্দন

Published

on

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের সঙ্গে জামায়াতের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ছিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিনন্দন জানাচ্ছে।

শিক্ষক নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যা ও ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী নিধনের নেতৃত্বদানকারী এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তে স্নাত, দুই থেকে ছয় লাখ নারীর সম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতাকারী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (তৎকালীন ছাত্র সংঘ)। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রাজপথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হত্যার বহু ঘটনা ঘটিয়েছে।

তারা বলেন, এসব কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। তবে এটিই যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের

Published

on

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন এবং সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে বলে আশা করেন তারা।

রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টায় বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেরিন আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে আমাদের ছাত্র মো. আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ), কোটাবিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা তার এবং অন্য শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

এতে আরও বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সংযম প্রদর্শন এবং আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি এবং আশা করছি যে সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক আজ

Published

on

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি সুরাহার জন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। পরে আজ বসার জন্য সময় দেন তিনি। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

গেলো তিন দিন ধরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে কার্যত অচল হয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গতকালও সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন।

Advertisement

অন্যদিকে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও প্রশাসনিক ভবনের কোথাও কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মঙ্গলবার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা প্রত্যয় স্কিম করেছেন, তারা হয়তো মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি তার জায়গা থেকে কথা বলেছেন। আমরা যখন তাকে বোঝাতে পারব, তখন হয়তো তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন। তার বক্তব্যটি আমরা গ্রহণ করিনি।’

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it