বাংলাদেশ
রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিম্ন আয় থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গঠনের জীবন্ত গল্প : পলক
রাষ্ট্রপতির ভাষণকে নিম্ন আয় থেকে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে উঠার জীবন্ত গল্প বললেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার প্রথম দিনে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। (বাসস)
১৬ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন।
আজ সোমবার(১৭ জানুয়ারি) রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য সামসুল হক টুকু।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার প্রথম দিনে অন্যান্যের মধ্যে আজ অংশ নেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, সরকারি দলের অসীম কুমার উকিল, আনোয়ারুল আবেদীন খান, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আমিরুল আলম মিলন, বেগম উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং খালেদা খানম।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে গত সাড়ে ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে একটি প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ উত্তরণ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় হচ্ছে।
পলক সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ে’র নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৩ বছরে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে স্থল স্যাটেলাইট স্থাপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল দেশের যাত্রার যে ভিত্তি রচনা করেছেন, মহাশূণ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও স্থাপনের মাধ্যমে তা পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। এ সময়ের মধ্যে দেশকে ২ জি থেকে পর্যায়ক্রমে ৩, ৪ ও ৫ জিতে উন্নীত করা হয়েছে। ১৭ লাখ জনসংখ্যার দেশে মোবাইল ব্যবহাকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৭ লাখ, সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৮ লাখ, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি।
তিনি বলেন, সারাদেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সাইবার অপটিক্যাল সংযোগ স্থাপন করা সম্পন্ন হয়েছে। এর পর ২১ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৮শ’ ইউনিয়নকে সরাসরি এ সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে এ সংযোগ স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সরকারি কার্যক্রম ডিজিটাইজ করে পেপারলেস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিনিময় নামে নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাশলেস আর্থিক লেন-দেনও অচিরে চালু করা হবে।
তিনি বলেন, এ সব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ’৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ’৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হওয়ার দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিদেশী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে বিএনপি-জামায়াত দেশ ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্রান্ত শুরু করে। এবারো আবার তা শুরু করে জনগণকে নানভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালোনো হচ্ছে। এ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে এ সব মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক এ দেশের জনগণ। বিএনপি-জামায়াত বার বার বিদেশীদের কাছে নালিশ করে দেশ বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সম্পর্কে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না।
তিনি এক জন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কীভাবে তারেক রহমান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকছেন তা দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।
এসআই/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ