ফুটবল
এশিয়ান গেমসের জন্য নতুন কোচ পেল সাবিনারা
কয়েক মাস যাবত কোচ সমস্যায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাবিনা খাতুনদের গুরু গোলাম রব্বানী ছোটনের পদত্যাগের পর সদ্য সমাপ্ত নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মাহবুবুর রহমান লিটু। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান গেমসের জন্য নতুন কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। নারী দলের ডাগআউটে জাতীয় দলের সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটুকে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে টিটুর সঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এশিয়ান গেমসের জন্য সাবিনাদের কোচ চূড়ান্ত করা হয়।
মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, ‘সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমস এবং এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্ট রয়েছে। দুটি টুর্নামেন্ট একই সময় হওয়ায় আমাদের ভিন্ন ভিন্ন কোচ প্রয়োজন। অ-১৭ টুর্নামেন্টে লিটু ভাই এবং এশিয়ান গেমসে সাইফুল বারী টিটু ভাইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বাফুফের মহিলা ফুটবল কমিটির সভা ছাড়াই নারী দলের কোচ চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে সাবিনাদের জন্য বাফুফে দীর্ঘমেয়াদী কোচ খুঁজছে বলে জানান নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান, ‘আমরা ইতোমধ্যে জাপান ও কোরিয়ায় চিঠি দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবেও এই দুই দেশে যোগাযোগ করছি।’
সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সঙ্গে বাফুফের সদ্য বিদায়ী টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির টানাপোড়েন ছিল। পল স্মলি চলে যাওয়ায় ছোটনকে আবার ডাকা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কিরণ বলেন, ‘ছোটন ভাইকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি আসেননি, এখন আর সুযোগ নেই।’
বাফুফেতে আগেও কাজ করেছেন সাইফুল বারী টিটু। এএফসির অর্থায়নে প্যানেলভুক্ত কোচ ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে ইনচোন এশিয়ান গেমসে টিটু মামুনুল হকদের প্রধান কোচ দেশের সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার। পরবর্তীতে একাধিক জাতীয় দলের প্রধান কোচ ও বিদেশি কোচের সঙ্গে দেশীয় কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।
তবে গত দুই মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে বাজে সময় পার করেছেন সাইফুল বারী টিটু। গত মৌসুমে শেখ রাসেল ও চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে মাঝপথে বিদায় নিয়েছে তার ক্লাব। গত কয়েক মাস তিনি সরাসরি কোচিংয়ের সঙ্গে ছিলেন না।
সাবিনাদের দায়িত্ব পেয়ে টিটু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে আজই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এখন আমি ফ্রি ছিলাম। তাই এই চ্যালেঞ্জ নিলাম। আমার দায়িত্ব শুধু এশিয়ান গেমস পর্যন্ত।’
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন