আইন-বিচার
সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান শেষ
রাজধানী গুলশানের যে বাড়িতে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাফুফের সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বসবাস করেন সে বাড়ির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান শেষ। কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি উপস্থাপন শেষে আদালতের কাছে ফের সময় চাইবে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ১৪ ধারায় কমিশনের সাপ্তাহিক সভায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এরপরে সদস্যরা এটি দেখে বিবেচনা করা অনুমোদন দেবে। হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা অনুসন্ধান সম্পন্ন করেছি। এখন কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষা করছি। আশা করছি খুব শীগগিরই আমরা অনুমোদন পেয়ে যাবো।
এর আগে ১৪ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের কাছে সময় আবেদন করে জানান, অনুসন্ধান প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়িটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। ওই বাড়ি সালাম মুর্শেদী দখল করে বাস করছেন। বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজউকের কাছে জানতে চাইলেও কোনো জবাব দেয়নি।
দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ মামলায় ১৯৬০ সাল থেকে নথি পর্যালোচনা করতে আরেকটু সময় প্রয়োজন।
হাইকোর্টের এক রিটে বলা হয়, পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখল করে বাড়ি বানিয়েছেন সালাম মুর্শেদী। যদিও এমন অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন তিনি।
বাড়িটির প্রকৃত অবস্থা কী দুদকের আবেদনে একটি কমিটি গঠন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ৩ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন রাজউকের এক কর্মকর্তাও। গত ২০ নভেম্বর সেই কমিটি পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে জানায়, গুলশান ২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে অবমুক্ত না করেই অবৈধভাবে বানানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেআইনিভাবে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে একপক্ষ থেকে আরেক পক্ষকে।
প্রতিবেদনে কমিটি জানায়, অবৈধভাবে দখল হওয়া প্লটটি সরকারের অনুকূলে ফেরত নেয়ার সময় এসেছে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
এর আগে এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন জানান, তদন্ত কমিটি স্পষ্ট করে বলেছেন, কাগজপত্রের আলোকে অর্পিত বাড়িটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি। এর অর্থ কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে এবং এটি সরকারের আনুকুল্যে আনা যেতে পারে। রাজউক পরিষ্কার করে বলছে, সালাম মুর্শেদী বাড়িটি অবৈধভাবে দখল করে আছেন।
এসি
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন