আওয়ামী লীগ
যতদিন বাংলাদেশ ততদিন ভারতে প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব : হাছান মাহমুদ
পশ্চিমদিকের বাতাস বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে, এখন বাতাস দিয়েও লাভ হবে না। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং তাকে ইস্যু করে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর হস্তক্ষেপ নিয়ে তুলোধোনা করলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জাতীয় নির্বাচনে পশ্চিমা হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন “আমি মনে করি এই অঞ্চলে অন্য অঞ্চলের কেউ এসে নাক গলাক, তা আমরা চাই না।” এসময় কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কূটনীতিকদের নাক গলানোর বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের চুক্তি লঙ্ঘনের দিকটিও স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী।
কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে চার দিনের সফরে কলকাতায় আছেন তথ্যমন্ত্রী জনাব হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কলকাতা প্রেসক্লাবে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার পাশাপাশি মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করে কলকাতা প্রেস ক্লাব। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক, ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী, সম্পাদক শুভজিত পুততুন্ডু, ঢাকা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা ও আশিকুর রহমান।
এদিন সংক্ষিপ্ত ভাষণে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা, এই বন্ধন কখনই ছিন্ন হওয়ার নয়। তাই যতদিন বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন আমরা ভারত বা ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। তার অভিমত দুই দেশের মধ্যে নৈকট্য অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দু’দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রিকতা পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উদহারণ টেনে মন্ত্রী বলেন, ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ তারের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে, আমাদের দেশ আলোকিত হচ্ছে। সম্প্রতি রুপি ও টাকার বিনিময়ে দুই দেশের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এটা কোনোদিন ভাবা যায়নি। এতে করে দুই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এগুলো একটা মাইল ফলক হয়ে দাঁড়াবে। হাসিনার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকলে এই পর্যায়ে আসত না। কারণ অন্য যারা রাজনীতি করে তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ভারত বিরোধিতা, আওয়ামী লীগকে গালি দেয়া যে আমরা নাকি হিন্দু বিরোধী দল। ভোট আসলেই এই গালি শুনতে হয়। বিদ্বেষ ছড়ানো হয়, ভারতের বিরোধিতা শুরু হয়। কয়েকদিন পরে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন, ইতিমধ্যে এগুলো শুরু হয়ে গেছে। তাই তারা যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে ভারতের সঙ্গে কখনোই আমাদের সম্পর্ক কখনোই এই পর্যায়ে আসতো না। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আছে বলেই।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভারতেও সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট আগ্রহ। এদিন মন্ত্রীর ভাষণের পর তাই জাতীয় নির্বাচন থেকে সাম্প্রতিক পশ্চিমা গতিবিধি, বাংলাদেশে চীন ঘনিষ্টতা থেকে নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান সব বিষয়ে উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ ও বিএনপি জমানায় সহিংসতা নিয়ে মন্ত্রী বলেন ‘২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি’র নেতৃত্বে যে সহিংসতা হয়েছিল, প্রায় এক শতাধিক মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, ট্রেন বাস লঞ্চে অগ্নিসংযোগ ঘটনা হয়েছিল। সেখানেও পশ্চিম (পশ্চিমাদেশ গুলি) দিকের বাতাস এসেছিল, সেটা এহন সরে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে। তাই এখন বাতাস দিয়েও কোনো লাভ হবে না। আমি মনে করি এই অঞ্চলে অন্য অঞ্চলের কেউ এসে নাক গলাক, তা আমরা চাই না। সেটা কি সমীচীন হবে?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করানো নিয়ে বিরোধীদের যে দাবি সে প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন হবে। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে যে চলতি সরকার থাকে, সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। যেভাবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা জাপানে হয়ে থাকে। ঠিক সেভাবেই শেখ হাসিনার সরকারি নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন কমিশন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি আইন করা হয়েছিল সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন