রাজশাহী
পুলিশের পোশাক পরে টিকটক, নারীসহ ৬ টিকটকার আটক
রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের পোশাক পরে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় এক নারীসহ ৬ টিকটকারকে আটক করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শুক্রবার তেরখাদিয়া শহিদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের সামনে থেকে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো রওনক বিশ্বাস (২৩), মোস্তাকিম (২৫), আল মামুন (৪৭), সাজু আহমেদ (৩৩), হাবিবুর রহমান (১৯) ও আয়েশা সিদ্দিকা (২২)। রওনক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার বাতেন খাঁ মোড়ের রাহাত আলীর ছেলে, মোস্তাকিম রাজশাহী নগরীর পবা থানার বড় ভালাম গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে, আল মামুন রাজপাড়া থানার নতুন বিলসিমলা এলাকার মৃত মনছুর রহমানের ছেলে, সাজু কাশিয়াডাঙ্গা থানার হাড়ুপুরে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে, হাবিবুর রহমান কুষ্টিয়া জেলার সদর থানার কালিশংকরপুরের মো: মঞ্জুর হোসেনের ছেলে ও আয়েশা সিদ্দিকা পাবনা জেলার ঈশ্বরর্দী থানার হাসপাতাল রোডের মান্নানের মেয়ে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম (মিডিয়া) আজ শনিবার বিকেলে জানান, শুক্রবার (২৮শে জুলাই) সকাল ১০ টায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আল মামুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মহানগর এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছিল।
এসময় ডিবি পুলিশের ওই টিম নগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া শহিদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের সামনে পুলিশের পোশাক পরে কয়েকজন নারী ও পুরুষকে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করার নিমিত্ত টিকটক ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে দেখতে পান। এসময় গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আটক করে। নারী টিকটকার কর্তৃক পুলিশের পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। তাদের কাছে থাকা টিকটকের স্ক্রিপ্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাতে পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ রয়েছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন