ফুটবল
মাদ্রিদের ৭ নম্বর জার্সি হাতে ভিনি জানালেন, ‘রোনালদো আমার আইডল’
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৭ নম্বর জার্সি গায়ে জড়িয়ে ক্রিশ্চিয়নো রোনালদো নিজেকে তর্ক সাপেক্ষে সর্বকালের সেরা প্রমাণ করেছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে শুধু রোনালদোই নন রাউল গঞ্জালেস, রেমন্ড কোপা ও এমিলিয়ানো বুত্রাগুয়েনোর মতো কিংবদন্তিরাও ৭ নম্বর জার্সি পরেছেন। এবার সেই জার্সি গায়ে জড়াবেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ উইঙ্গার ভিনিয়াস জুনিয়র।
জার্সি পাওয়ার ঘোষণা অবশ্য এসেছিল অনেক আগেই। ভিনির জাতীয় দল সতীর্থ রদ্রিগোকেও আগামী মৌসুমে দেখা যাবে নতুন জার্সিতে। রিয়ালের আরেক বিখ্যাত ১১ নম্বর জার্সিতে দেখা যাবে রদ্রিগোকে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এরই মধ্যে প্রাক্–মৌসুমএবার নিজেদের নতুন জার্সি হাতে ছবি তুলেছেন তাঁরা। কথা বলেছেন জার্সির নম্বর নিয়ে নিজেদের আবেগের বিষয়েও। রোনালদোর ৭ নম্বর গায়ে জড়ানো নিজের উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ভিনি, আর ১১ নম্বর জার্সি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রদ্রিগো স্মরণ করেছেন রিয়ালের কিংবদন্তি ফুটবলার পাকো হেন্তোকে।
আগের মৌসুমগুলোতে ২০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন ভিনি। কিন্তু দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে এবার তিনি আদায় করে নিয়েছেন ৭ নম্বর জার্সি। নতুন এই জার্সি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভিনি বলেছেন, ‘এই জার্সি পরতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। এর আগে অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড় এটি পরেছে। এটা আমার কাছে বিশাল কিছু। এই সংখ্যা শৈশব থেকেই আমার খুব পছন্দের।’
অনেক কিংবদন্তি ৭ নম্বর জার্সি পরে খেললেও ভিনিসিয়ুসের এই জার্সি নিয়ে উৎসাহের অনেকটাজুড়েই মূলত রোনালদো। রিয়ালের হয়ে এই জার্সিতেই নিজেকে সর্বকালের সেরার কাতারে নিয়ে গেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ‘সিআর সেভেন’কে নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাসটা ভিনিসিয়ুস ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘আমি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দ্বারা অনুপ্রাণিত। কারণ, আমি তার সব খেলা দেখেছি। সে এই ক্লাবে একটি যুগকে চিহ্নিত করেছেন। সে আমার আদর্শ।’
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন