লাইফস্টাইল
প্রসাধনী সংস্থা রয়েছে যে ৫ বলি নায়িকার
পর্দায় নায়িকাদের সুন্দর, ঝলমলে ত্বক দেখে অনেকেই ভাবেন কী ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে তাদের মতো সুন্দরী হওয়া যায়! কেবল পর্দায় নয়, দীপিকা পাড়ুকোন, কিয়ারা আদভানি, আলিয়া ভাট— বাস্তব জীবনে মেকআপ ছাড়াও এদের চেহারায় ধরা পড়ে জেল্লা। ইদানীং বলি নায়িকাদের মধ্যে অনেকেই ত্বক পরিচর্যার রুটিন অনুরাগীদের জানিয়ে দেন সমাজমাধ্যমে। কেউ বলেন বেশি করে পানি খেতে হবে, কেউ আবার বলেন ঘরোয়া টোটকাতেই ভরসা রাখেন তারা।
সম্প্রতি অনেক বলি নায়িকাই নিজের প্রসাধনী সংস্থা বাজারে এনেছেন। অনুরাগীদের মধ্যে প্রিয় তারকার সংস্থার প্রসাধনীগুলি ব্যবহারের প্রতি ঝোঁকও বেড়েছে। কোন কোন নায়িকা আছেন সেই তালিকায়-
প্রিয়ঙ্কা চেপড়া জোনাস
তিন বছর আগে আমেরিকাতেই ‘অ্যানোম্যালি হেয়ারকেয়ার’ নামে চুল পরিচর্যার জন্য একটি প্রসাধনী সংস্থা বাজারে আনেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ‘নাইকা’-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতেও পাওয়া যাচ্ছে সেই‘অ্যানোমেলি হেয়ারকেয়ার’-র প্রসাধনী।
View this post on Instagram
রকমারি শ্যাম্পু, ড্রাই শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক, কন্ডিশনার পাওয়া যায় ‘অ্যানোম্যালি হেয়ারকেয়ার’-এর ওয়েবসাইটে। প্রিয়ঙ্কার সংস্থার প্রসাধনী ছেলে-মেয়ে সকলেই ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যাটরিনা কাইফ
২০১৯ সালে বাজারে আসে অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের প্রসাধনী সংস্থা ‘কে বিউটি’। লিপস্টিক, নেলপলিশ, কাজল, আইলাইনার, ফাউন্ডেশন, কম্প্যাক্ট পাউডার— রূপচর্চার সব ধরনে সামগ্রীই পাওয়া যায় এ সংস্থার ওয়েবসাইটে। এছাড়া অ্যামাজন, নাইকার মতো অনালাইন ইকমার্স সাইটেও এই প্রসাধনীগুলির হদিস পাবেন। সব ধরনের ত্বকের জন্যই নির্দিষ্ট কিছু প্রসাধনী আছে এ সংস্থায়।
View this post on Instagram
দীপিকা পাড়ুকোন
এ তালিকায় নাম রয়েছে অভিনেত্রী দীপিকারও। গত বছরই বাজারে এসেছে নায়িকার প্রসাধনী সংস্থা ‘৮২° ইস্ট’। নিজেই সেই সংস্থার প্রচার করেছিলেন তিনি। সংস্থার নামের ট্যাটু দীপিকার ঘাড়ের কাছে জ্বলজ্বল করছে। সেটাও কিন্তু প্রচারেরই অঙ্গ। হলুদ, অশ্বগন্ধার মতো প্রাকৃতিক উপদানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য প্রসাধনী বার করেছেন দীপিকা। ক্লিনজার, ফেস অয়েল, সানস্ক্রিন, ময়শ্চারাইজার, ফেস ওয়াশ— সবই পাবেন এই সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইটে।
কৃতি শ্যানন
সম্প্রতি এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। নিজের ৩৩তম জন্মদিন উপলক্ষে তিনি বাজারে এনেছেন ‘হাইফেন’ নামক প্রসাধনী সংস্থা। কৃতির প্রসাধনী সংস্থায় ফেস সিরাম, সানস্ক্রিনের মতো একাধিক সামগ্রী মিলবে এই সংস্থার ওয়েবসাইটে। কৃতি বলেছেন, তার প্রসাধনীগুলির দাম সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই। প্রসাধনীগুলির দাম ৪৫০ থেকে ৬৫০-এর মধ্যেই রয়েছে।
View this post on Instagram
সানি লিওন
২০১৮ সালে সানি লিওন বাজারে এনেছিলেন ‘স্টার স্ট্রাক’। নিজের সাজগোজের প্রতি ভালবাসা থেকেই এই প্রসাধনী সংস্থা তৈরির কথা মাথায় আসে সানির। কাজল, কনটুর, ফাউন্ডেশনের মতো একাধিক প্রসাধনী দ্রব্য রয়েছে এই সংস্থার। তবে তরুণীদের মধ্যে ‘স্টার স্ট্রাক’-এর লিপস্টিকের চাহিদা কিন্তু সবচেয়ে বেশি।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন