জাতীয়
শুরু হলো শোকাবহ আগস্ট
শুরু হলো আগস্ট মাস। বাঙালি জাতির জন্য এ মাস শোকের। বাঙালির জীবনে এ মাস অভিশপ্ত। কারণ, এ মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ মহান নেতাকে হারানোর শূন্যতা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকেও হত্যা করে ঘাতকরা।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করা হয়।
পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম আর কোনো হত্যাকাণ্ড রচিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে সেদিন হত্যা করায় বাংলার আকাশে আঁধার নেমেছে, যা এখনো ঘোচেনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশক হলেও এখনো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শূন্যতা অনুভব করে।
শুধু দেশের বাইরে থাকার জন্য তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। শোকের এই আগস্ট মাসকে যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মাসব্যাপী ঘোষিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
প্রতি বছর আগস্টকে শোকের মাস হিসেবে পালন করে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে সরকারিভাবে পালিত হয়। এবার ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করবে আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৩১ জুলাই) দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে। ৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিলের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচি:
১ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে কৃষক লীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ১১টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে যুব মহিলা লীগ।
৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মিনতি আজ করি পিতা, একবার এসে দেখে যান’ শীর্ষক তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রতীকী ‘পত্রপ্রেরণ’ কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগ।
৫ আগস্ট (শনিবার) সকাল ৮টায় ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে এবং সকাল ৯টায় বনানীর কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে আওয়ামী লীগসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ সহযোগী সংগঠন। ‘শেখ কামাল: শুদ্ধ তারুণ্যের ঋদ্ধ স্লোগান’ শীর্ষক আলোচনা সভা করবে যুবলীগ। শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, দুস্থ, এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য বিতরণ করবে মৎস্যজীবী লীগ। সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী করবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এদিন বিকাল ৩টায় শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগ।
৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ সহযোগী সংগঠন। ‘প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভা করবে যুবলীগ। বাদ জোহর আজিমপুরের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগের আলোচনা সভা বিকাল ৩টায়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প। ‘বাংলাদেশের মাতা, বাংলাদেশের নেতা’ শীর্ষক ছাত্রলীগের ছাত্রী সমাবেশ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভা।
৯ আগস্ট (বুধবার) বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১০টায় আলোচনা সভা করবে মহিলা আওয়ামী লীগ।
১১ আগস্ট (শুক্রবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভা।
১২ আগস্ট (শনিবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, শাহবাগের বিএসএমএমইউয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে বিকাল ৩টায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের আলোচনা সভা।
১৩ আগস্ট (রোববার) ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ, দেশব্যাপী শিশুদের ‘বঙ্গবন্ধু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ আয়োজন করেছে ছাত্রলীগ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী (১৩-১৫ আগস্ট) স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আগস্টের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করবে যুব মহিলা লীগ।
১৪ আগস্ট (সোমবার) ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ।
১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সূর্যোদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন (রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে), সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল। দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা। দুপুরে সারা দেশে এতিম ও দুস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও গণভোজ। বাদ আসর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
১৬ আগস্ট (বুধবার) বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আলোচনা সভা করবে। ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। দেশবিরোধী, মানবতাবিরোধী, সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহানগর, জেলা, উপজেলায় ছাত্রলীগের ‘সন্ত্রাস ও মৌলবাদবিরোধী পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ আগস্ট (শনিবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগের আলোচনা সভা। বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভা।
২০ আগস্ট (রোববার) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে কৃষক সন্তানদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কৃষক লীগের।
২১ আগস্ট (সোমবার) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্মরণে আলোচনা সভা আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর। বিকাল ৫টা ২১ মিনিটে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোক শিখা প্রজ্বালন। গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কৃষক লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড খুনি’ তারেক রহমানকে তরুণ প্রজন্মের দেশব্যাপী ‘রেড কার্ড’ প্রদর্শন করবে ছাত্রলীগ।
২২ আগস্ট (মঙ্গলবার) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগ।
২৩ আগস্ট (বুধবার) আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা করবে মহিলা আওয়ামী লীগ।
২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ নারীনেত্রী আইভী রহমানের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে করবে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ সহযোগী সংগঠনগুলো। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিকাল ৩টায় আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা করবে জাতীয় শ্রমিক লীগ।
২৫ আগস্ট (শুক্রবার) ১৫ ও ২১ আগস্ট নিহত শহীদদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা আয়োজন করবে ছাত্রলীগ।
২৬ আগস্ট (শনিবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের আলোচনা সভা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত নীলনকশাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করবে মহিলা শ্রমিক লীগ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শোকাবহ আগস্ট স্মরণে অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি উপ-কমিটির। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব মহিলা লীগের আলোচনা সভা এবং ঢাকার সব বেসিক ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা জাতীয় শ্রমিক লীগের।
২৭ আগস্ট (রবিবার) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ সহযোগী সংগঠনগুলো।
৩০ আগস্ট (বুধবার) আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের আলোচনা সভা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘শোক থেকে শক্তি, শক্তি থেকে জাগরণ’ শীর্ষক যুবলীগের আলোচনা সভা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাসব্যাপী শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সব সহযোগী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সব শাখার নেতাদের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানানো হয়।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন