আইন-বিচার
গুজব ছড়ানো বন্ধে ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতা চেয়েছে ডিবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো বন্ধে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সহযোগিতা চেয়েছে ডিবি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ব্যারিস্টার সুমন।
তিনি বলেন, ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আমাকে যে কারণে ডেকেছিলেন তা হলো- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি কাজ করি। আমার একটি বড় ফলোয়ার গ্রুপ আছে। আসলে এই সংকটময় মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতি ও রাজনীতির বাইরেও অনেক লোকজন গুজব ছড়ায়। এটা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে। ডিবিপ্রধান আমাকেও বললেন কোনোভাবে কিছুটা সহযোগিতা করা যায় কি না। আমার জায়গা থেকে কী ধরনের সহযোগিতা করা যায়। আর ডিবির ভাবমূর্তি বা পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করলে ভালো হয়, আমি আমার জায়গা থেকে বলার চেষ্টা করেছি।
বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় অনেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক প্রোগ্রামের নামেও দেখা যায় রাস্তাঘাট বিভিন্ন দিকে বন্ধ হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আমি বলার চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব আইন মেনে নাগরিকের যেই অধিকারটুকু আছে সেটুকু অবশ্যই যেন ওনারা মেনে কাজ করেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ডিবিপ্রধান আমায় কথা দিয়েছেন এবং আমিও উনাকে কথা দিয়েছি- আপনাদের যত ইতিবাচক জিনিস আছে এগুলো আমরা চেষ্টা করবো মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য। তবে তাদের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আজ সব জায়গা থেকেই যেভাবে গুজব ছড়াচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে। আমি মনে করি, যারা ইউটিউবার বা ফেসবুকে কথা বলেন- এমন ব্যক্তিদের আমরা অনুরোধ করবো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে পুলিশের মনোবল যেন তারা ভাঙতে না পারে। আমাদের যেই প্রকৃত সত্য কথাটা, আমরা যা করি সেটা যেন সত্যভাবে প্রকাশ হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে এখানে কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে পুলিশ সদস্যদের যেন কেউ মনোবল ভাঙতে না পারে। সেই কারণে আমরা সবার সহযোগিতা চাচ্ছি।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন