চট্টগ্রাম
নোয়াখালীতে ডেঙ্গুতে প্রথম মৃত্যু
নোয়াখালীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নেছার উদ্দিন (২২) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এটি নোয়াখালীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত পাঁচদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর নেছার উদ্দিন প্রথমে রামগতিতে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) তাকে নোয়াখালীর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয়। নেছারের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু হওয়া নেছার উদ্দিনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পূজা নগর গ্রামে। গতকাল শুক্রবার (৪ আগস্ট) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন রোগী। হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১ জন। এছাড়া জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬১ জন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডেঙ্গু রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতালে দুটি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আলাদা করে ডেঙ্গু ইউনিট করা হয়েছে।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, এটিই নোয়াখালীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এ জেলায় দ্রুত ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এজন্য মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু সচেতনতায় মাইকিং, স্কুল-কলেজ, হাটবাজারে লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আশরাফ বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। রোগী বাড়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। বলা যায় জেলায় দ্রুত ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এজন্য মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জমানো পানি ফেলে জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে। প্রয়োজনে রাতে ঘুমের সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। জেলায় ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ অব্যহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন