ফুটবল
এমবাপ্পে-মেসির পিএসজিতে আসার কারণ নেইমার, দাবি এজেন্টের
২০১৭ সালে ২২ কোটি ইউরোতে সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে আসেন নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান তারকার পিএসজিতে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ফরাসি ক্লাবটিতে আসেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। নেইমার আসার পর পিএসজিতে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন ব্রাজিলিয়ান পোস্টারয়ই। ক্লাবও শুরু থেকেই নেইমারকে সেই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে।
এরপর একই পথ ধরে প্রথমে আনহেল দি মারিয়া এবং ২০২১ সালে প্যারিসে আসেন লিওনেল মেসিও। পিএসজিতে এমবাপ্পে-মেসির মতো তারকাদের আগমন মূলত নেইমারের কারণে হয়েছে বলে মনে করেন ব্রাজিলের বিখ্যাত এজেন্ট আন্দ্রে কারি।
২০০৩ সালে রোনালদিনিওর বার্সেলোনায় যাওয়া এবং ২০১৩ সালে নেইমারকে বার্সেলোনায় নিয়ে আসার এই কারিগর বলেছেন, ‘নেইমার পিএসজিকে যা দিয়েছে, তা অমূল্য। বিপণনের দিক থেকে নেইমারের কাছ থেকে পিএসজি যা পেয়েছে, সে হিসেবে সে ক্লাবটির ইতিহাসের সবচেয়ে সস্তা খেলোয়াড়। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানে একটা ছেলেকে দেখবেন পিএসজির জার্সি পরা। অথচ তারা আগে এই ক্লাব সম্পর্কে কেউ কিছু জানতই না। শেষ পর্যন্ত এখানে মেসি, এমবাপ্পে এবং দি মারিয়াসহ অন্যরা এসেছে।’
এ সময় ১০০ মিলিয়ন বা এর চেয়ে বেশি অঙ্কের দলবদলগুলোর ব্যর্থতাকেও সামনে এনেছেন কারি। তিনি বলেন, ‘এমবাপ্পে এবং নেইমারকে বাদ দিলে আমরা ১০০ মিলিয়ন বা তার বেশি খুব কম দলবদলই দেখব, যা কাজ করেছে। বেশির ভাগ এমন দলবদল (১০০ মিলিয়ন বা তার বেশি) কাজ করেনি। বার্সেলোনায় (উসমান) দেম্বেলে, আঁতোয়ান গ্রিজমান, (ফিলিপে) কুতিনিও, রিয়াল মাদ্রিদে (এডেন) হ্যাজার্ড, অনেক ক্ষেত্রে (গ্যারেথ) বেলের দলবদল কিন্তু কাজ করেনি। আবার আতলেতিকো মাদ্রিদ জোয়াও ফেলিক্সের জন্য ১২ কোটি ৬০ লাখ ইউরো খরচ করেছে এবং ৮ বা ৯ কোটি ইউরো দিয়েছে টমাস লেমারের জন্য। আর চেলসিও অনেক টাকা খরচ করেছে কিন্তু কিছুই পাইনি।’
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন